বাংলাদেশ

‘ভারত-বাংলাদেশ রক্তের সম্পর্ক, কেউ ছিন্ন করতে পারবে না’

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের এবং তা কেউ ছিন্ন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের এবং তা কেউ ছিন্ন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজীব রঞ্জন।

আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ জিমনেসিয়াম মাঠে পঞ্চদশ শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাইজভান্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (ক.) ১১৭তম উরস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাইজভান্ডারী একাডেমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, 'ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক পরীক্ষিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত সহযোগিতা করেছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সমরযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অনেক ভারতীয় প্রাণ দিয়েছে। তাই ২ দেশের মানুষের সম্পর্ক এত গভীর এবং হৃদ্যতাপূর্ণ।'

'২ দেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও ২ দেশের মানুষের মাঝে কোনো বর্ডার নেই। ভারত প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে বিশ্বাস করে। আর প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় সবার আগে। বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে অনেক দূর', যোগ করেন তিনি।

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের মানবিক কাজের প্রশংসা করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, 'মাইজভান্ডারী একাডেমি এবং সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে অবদান রাখছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আজকের শিশু-কিশোররাই আগামী দিনের নির্মাতা। তাই শিশুদের মানবিক গুণে বেড়ে ওঠার পথ ও স্বপ্ন দেখাতে হবে। সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে সমৃদ্ধ মানুষ তৈরি করতে হবে। আজ ভীতি ও শঙ্কা নিয়ে শিশুরা বড় হচ্ছে। চারপাশে আজ উৎপীড়ক ও প্রতিহিংসাপ্রবণ মানুষের অভাব নেই। এদের গ্রাস থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে। মাইজভান্ডারী একাডেমির এই আয়োজনে শিশুদের স্বপ্ন ও প্রতিভার বিকাশ ঘটবে নিঃসন্দেহে।'

শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের সচিব এওয়াই এমডি জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। অতিথি ছিলেন লায়ন গর্ভনর সামসুদ্দিন আহমদ সিদ্দিক, মোসলে উদ্দিন, বিভাগীয় প্রধান, জেলা শিশু কর্মকর্তা, জাতীয় যাদুঘরের উপ পরিচালক ড. আতাউর রহমান,বোরখান উদ্দিন মোহাম্মদ আহসান, আলোকচিত্র শিল্পী সোয়েব ফারুকী, সৌরভ দাশ, মাইজভান্ডারী একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহুর উল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর তরিকুল আলমসহ অন্যরা।

পরে অতিথিরা বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

Comments