যাত্রামঞ্চ হতে পারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে যাত্রামঞ্চ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির দাবির প্রেক্ষিতে কে এম খালিদ বলেন, 'সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে যাত্রামঞ্চ হতে পারে। এটির জন্য প্রস্তাবনা থাকবে। যেহেতু কাছেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে সাংস্কৃতিক চর্চার আদর্শ স্থান। এ ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।'

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, 'আমরা উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ পছন্দ করি না। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এসব প্রতিহত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।'

ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার বলেন, 'আজকে যাত্রা নিয়ে অনেক কথা বলি আমরা। সরকার যাত্রার জন্য নানা কমিটিসহ নানা কিছু করেছে। কিন্তু ঢাকায় যাত্রা করার মতো একটি জায়গা নেই। ঢাকার বাইরের কথা বাদই দিলাম।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও মূল্যবোধের ভয়াবহ অবক্ষয় হয়েছে। এটা রোধ করার জন্য দরকার তৃণমূল পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করা। সরকারকে সাংস্কৃতিক বান্ধব বলে আখ্যায়িত করেছি আমরা। কিন্তু সবচেয়ে কম বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অন্যতম হলো সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়।'

১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, '১৯৫২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গণআন্দোলন, রাজনৈতিক আন্দোলন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে ভূমিকা ছিল সাংস্কৃতিক কর্মীদের। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যেমন আগ্রহ দেখানো হয়, ক্ষমতায় আসার পর সরকার তেমন ভূমিকা রাখে না।'

সভাপতির বক্তব্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, 'পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার অপেক্ষা করছি। সরকারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সাফল্য আছে। জঙ্গি-মৌলবাদী দমনে মাঠ পর্যায়ে সরকারের সাফল্য প্রশংসনীয়। কিন্তু জঙ্গিদের রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্মূল করতে পারেনি। এজন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।'

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ফরিদা পারভীন ফাউন্ডেশন সভাপতি সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নরওয়ের লোকসঙ্গীত গবেষক, লেখক ও আলোকচিত্রশিল্পী ওয়েরা সেথের।

Comments

The Daily Star  | English

Manifesto for a new Bangladesh on Aug 3

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said they will declare the manifesto for a new Bangladesh on August 3 at Central Shaheed Minar.

5h ago