সিটি করপোরেশনের টেবিল, বাতাস সব চোর বলে মেয়র হইনি: সংসদে রহমতুল্লাহ

আওয়ামী লীগের দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ঢাকার মেয়র হতে বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল-বাতাস সব চোর হওয়ায় তিনি রাজি হননি। 
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ঢাকার মেয়র হতে বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল-বাতাস সব চোর হওয়ায় তিনি রাজি হননি। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রহমতুল্লাহ বলেন, 'আমি কিন্তু ঢাকার এমপি। এখনকার মধ্যে মোস্ট সিনিয়র এমপি। এখানে মতিয়া আপা আছে, আমার চেয়ে মোস্ট সিনিয়র ৫-৬ জন আছে। আমার বয়স এখন ৭৫ চলতেছে।'

এ কে এম রহমতুল্লাহ
এ কে এম রহমতুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

'আমি আর ফিরোজ রশীদ একসঙ্গে পড়তাম। আমার ছেলের বয়সই ৪৯। অনেকই প্রশ্ন করে, আমি ৫ বারের এমপি। মন্ত্রী হলাম না কেন,' বলেন তিনি।

সংসদ সদস্য রহমতুল্লাহ বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব মারা যাওয়ার পরে তিনি মেয়র অফার করেছিলেন। আমি আপাকে বললাম ওখানে যাব না। ওখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং ওখানে সব চোর। আমি যাব না।'

তিনি দাবি করেন, এরপর তাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এসব কারণে ওই প্রস্তাবেও তিনি রাজি হননি।

রহমতুল্লাহ বলেন, 'আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি দুটো নাম বলব। একটি এপেক্স ট্যানারি। আপনারা এপেক্স ট্যানারিকে খুব ভালোভাবে চেনেন। আরেকটা হলো এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলের। এটার টার্নওভার ৫০০ কোটি টাকার মতো।'

তিনি বলেন, 'আমার ছেলে বাংলাদেশে বড় ওষুধ কারখানা করবে। জায়গা কেনা হয়েছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে কোনো দেনা নাই।'

'আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি বলব না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলব,' আরও বলেন এই সংসদ সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

12h ago