রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী

আওয়ামী লীগের প্রার্থী

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাবেন, সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।

রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় সংসদে সংসদীয় দলের বৈঠক করবে আওয়ামী লীগ।

দলটির নেতারা জানান, মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকের নাম আলোচনায় থাকলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ পর্যন্ত দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি।

ক্ষমতাসীন দলের একাধিক আইনপ্রণেতা বলছেন, দলীয় ফোরাম বা সংসদীয় দলের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির মনোনয়নের বিষয়টি বিশদভাবে আলোচনা করা হয় না, তবে পার্টি প্রধান নিজেই বা তার পক্ষে একজন সংসদ সদস্য একটি নাম প্রস্তাব করেন এবং অন্য সদস্যরা তাতে সমর্থন দেন।

রাষ্ট্রপতি পদে ৩ জনের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। তারা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

খুলনার বাসিন্দা মশিউর একজন সাবেক আমলা এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন।

রংপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন শারমিন সংসদের সর্বকনিষ্ঠ স্পিকার হন এবং ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্যও।

তবে সম্প্রতি কাদের নিজেই বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি পদের যোগ্য নন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত ব্যক্তিই দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন। কারণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এমন আর কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছেন না। এ ছাড়া, সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে আওয়ামী লীগের।

৩৫০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বর্তমানে আওয়ামী লীগের রয়েছে ৩০২টি এবং প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির রয়েছে ২৬টি। ওয়ার্কার্স পার্টির রয়েছে ৪টি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ও গণফোরামের রয়েছে ২টি করে আসন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) একটি করে আসন রয়েছে। বাকি ৩টি আসনে রয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।

দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ এপ্রিল এবং সংবিধান অনুযায়ী তার পুনর্নির্বাচনের সুযোগ নেই।

সংবিধানের ৫০ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'একাদিক্রমে হউক বা না হউক-দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোন ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।'

মো. আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।

এরপর ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Stocks fall on poor performance of large companies

Indexes of the stock market in Bangladesh declined yesterday on rising the day before, largely due to the poor performance of Islami Bank Bangladesh along with the large-cap and blue-chip shares amid sales pressures..Large-cap refers to shares which account for large amounts in market capi

2h ago