বাংলাদেশ

৪০ দিন পর আদালতে ফিরলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক ছুটিতে চলে যাওয়ায় বর্জনের আওতায় থাকা ওই আদালতের কার্যক্রমেও অংশ নিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবীরা আদালতে ফেরায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের ভিড় দেখা যায়। ছবি: মাসুক হৃদয়/স্টার

অবশেষে ৪০ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন আন্দোলনরত আইনজীবীরা। 

দীর্ঘ জটিলতার অবসানের পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আদালতের প্রাণ ফিরেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ও আইনজীবী সমিতি। 

আইনজীবী সমিতির নেতারা জানান, আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক ছুটিতে চলে যাওয়ায় বর্জনের আওতায় থাকা ওই আদালতের কার্যক্রমেও অংশ নিয়েছেন আইনজীবীরা। 

এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২৩টি এজলাসে বিচারিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালতের অচলাবস্থা নিরসনে গত রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারোয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠক হয়। তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিশেষ সাধারণ সভা করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ছুটিতে না যাওয়া পর্যন্ত ওই আদালত ছাড়া সব আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।'

রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জেলা জজের বিষয়ে আইনজীবীদের নমনীয় হতে বলায় সাধারণ সভায় তা বিবেচনা করে আইনজীবীরা আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো জটিলতা থাকছে না বলেও জানান তিনি।  

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীরা মামলা করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। 

এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর আইনজীবী সমিতির নেতারা সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। 

এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলাম চৌধুরীর অপসারণ দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। 

এমন পরিস্থিতিতে নাজির মোমিনুল ইসলামকে চাঁদপুরে বদলি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছুটিতে যাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার থেকে সব আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিতে শুরু করেন আইনজীবীরা।

Comments