প্রথমবার মূল ক্যাম্পাসে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত বরণ

প্রথমবারের মতো মূল ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসব পালন করল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
মূল ক্যাম্পাসে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী ক্যাম্পাস ও ভবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হলেও এখনো সেখানে কাজ শুরু হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক জায়গায় খোলা আকাশের নিচেই বসন্ত বরণ করেছের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

খোলা আকাশের নিচে বালুময় চত্বরকেই ফাগুনের আবহে রঙ্গিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মূল ক্যাম্পাসে এবারই প্রথমবারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানিয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় গতানুগতিক শ্রেণীকক্ষভিত্তিক পাঠদানের পাশাপাশি প্রায়োগিক বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা সঞ্চার এবং জ্ঞান আহরণের জন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে সংস্কৃতিমুখী করে তোলার জন্য কাজ করছে। বসন্ত উৎসব তারই একটি অংশ।

মূল ক্যাম্পাসে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

এ উপলক্ষে বাসন্তী পোশাকে ঐতিহ্যবাহী গান, নৃত্য, ক্রীড়ার মাধ্যমে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বসন্ত উৎসব পালন করে।

উৎসব আয়োজনের সভাপতি বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর রবীন্দ্র প্রাঙ্গণে ফাল্গুন আবাহন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারণ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

২০১৫ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত ৩টি স্থানের মধ্যে শাহজাদপুরকে নির্ধারণ করা হয়েছিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের স্থান হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরুর প্রায় ৮ বছর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই নিজস্ব ভবন ও ক্যাম্পাস। সংকট থাকলেও ফাগুনের আবহে প্রথমবারের মত রঙ্গিন হলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago