কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ফ্লাইওভারটি মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দরের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করবে। এতে বিমানবন্দর থেকে মিরপুর পৌঁছাতে ১৫ মিনিট লাগবে।
কালশী ফ্লাইওভার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মিরপুরে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার কালশী ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেছেন।

তিনি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার প্রসারিত রাস্তাও উদ্বোধন করেন যা ৪ লেন থেকে ৬ লেনে উন্নীত ও প্রশস্তকরণ করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালশী বালুমাঠে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে, যা পরবর্তীতে জনসভায় রূপ নেয়, সেখানে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ফ্লাইওভার ও রাস্তার উদ্বোধন করেন।

ফ্লাইওভারটি মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দরের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করবে। এতে বিমানবন্দর থেকে মিরপুর পৌঁছাতে ১৫ মিনিট লাগবে।

২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি একনেক প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এর অধীনে ইসিবি স্কয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্তকরণ ও ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রায় ১ হাজার ১২ কোটি টাকা খরচে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুনে নির্ধারিত সময়ের ৪ মাস আগেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি ইংরেজি 'ওয়াই' অক্ষরের মতো। এই প্রকল্পে যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করতে আগের ৪ লেন রাস্তাগুলোকে ৬ লেন করা হয়েছে।

প্রধান ৪ লেন ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী ও মিরপুরের ডিওএইচএস হয়ে গেছে। ২-লেন বিশিষ্ট র‌্যাম্পটি কালশী মোড় থেকে শুরু হয়ে কালশী সড়কে যাবে।

প্রকল্পটির আওতায় একটি পিসি গ্রিডার ব্রিজ, ২টি ফুট ওভার ব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, ২টি পুলিশ বক্স, একটি ৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, একটি ১ হাজার ৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, ৩ হাজার ৩৮৩ মিটার যোগাযোগ তার, পৃথক সাইকেল লেন ও ৬টি 'বাস বে' নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি হলে মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দর সড়কের যানজট লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Comments