সান্টুকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে

প্রশাসনের ‘এমন আচরণ না করার’ আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার

ব্যবসায়ীদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন আচরণ ভবিষ্যতে করা হবে না, এমন আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চট্টগ্রামের অক্সিজেন কারখানা মালিকরা।
প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় অক্সিজেন কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন। ছবি: স্টার

ব্যবসায়ীদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন আচরণ ভবিষ্যতে করা হবে না, এমন আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চট্টগ্রামের অক্সিজেন কারখানা মালিকরা।

আজ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেয় মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।

বিএসবিআরএ সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, 'সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সীমা অক্সিজেন কারখানার এক পরিচালককে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নেওয়া হয়, যার কারণে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি বিস্ফোরণে আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। তবুও তার সম্মানহানি করা হয়েছে। এজন্য আমরা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আজকের বৈঠকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, পরবর্তীতে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। ব্যবসায়ীদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন আচরণ ভবিষ্যতে করা হবে না। তাই আমরা অক্সিজেন কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।'

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার ফখরুজ্জামান বলেন, 'এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল। ইতোমধ্যে দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা শিল্প পুলিশকে চিঠি দিয়েছি।'

শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সোলায়মান মামুন উদ্দীন বলেন, 'দায়ী পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্য অজ্ঞতাবশত সেই কাজটি করেছেন।'

এর আগে, শুক্রবার সকাল থেকে সীতাকুণ্ডে অবস্থিত সব অক্সিজেন কারখানার উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত অক্সিজেন সরবরাহ চালু ছিল।

চট্টগ্রামে ১৪টি অক্সিজেন কারখানা আছে, যার অধিকাংশই সীতাকুণ্ডে। এর মধ্যে ৬টি সক্রিয় আছে।

গত ৪ মার্চ বিকেলে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ছোট কুমিরায় সীমা শিল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে আহত ও দগ্ধ হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ২১ জন।

বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় অক্সিজেন কারখানাটির মালিক তিন ভাইসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
 
তিন ভাই হলেন- সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মামুন উদ্দীন এবং দুই পরিচালক আশরাফ উদ্দীন ও পারভেজ উদ্দীন।

এরমধ্যে পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago