‘মরা মুরগিগুলো কোথায় যায়, দেখবেন বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করছে’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। ছবি: স্টার

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, প্রতিদিন ৫-৭ হাজার মোরগ-মুরগি সারাদেশ থেকে ঢাকায় আসার পথে মারা যায়। পরে এই মরা মুরগিগুলো ঢাকার হোটেলগুলোতে সরবরাহ করা হয়।

আজ বুধবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল প্রতিরোধ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হালাল খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ দাবি করেন।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'মরা মুরগিগুলো কোথায় যায়? এগুলো দেখবেন বিভিন্ন হোটেলগুলোতে বিক্রি করছে। এসব কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।'

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুলতান ডাইনসে 'কুকুরের মাংস' সরবরাহের অভিযোগ ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে অভিযানে রেস্টুরেন্টটিতে খাসি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর মাংস ব্যবহারের প্রমাণ পায়নি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ ঘটনা উল্লেখ করে সাংবাদিকরা প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যের সূত্র জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন হোটেল মালিকের কাছ থেকে তিনি বিষয়টি শুনেছেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দেশে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও ব্যবসায়ীরা ডলারের দাম বৃদ্ধির দোহায় দেন, কিন্তু আমি মনে করি না- ডলারের দামের জন্য সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যেকেই ৩-৪ গুণ করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।'

'এই সিন্ডিকেট যদি আমরা ভাঙতে না পারি, নির্মূল করতে না পারি, তাহলে তারা এসব কাজ চালিয়েই যাবেন। তারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে চায়। সবাই মিলে এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে', যোগ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এজন্য দু-চারজনকে (ব্যবসায়ী) যদি শাস্তির আওতায় আনা যায়, তাহলে হয়ত এটি কমবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally at Jamuna after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

24m ago