বাংলাদেশ

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতারে ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

উভয়পক্ষের আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল ও একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে প্রায় আধাঘণ্টা সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলে। একপর্যায়ে আন্দোলনরত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সেখান থেকে চলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ভাঙচুর, হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ভাঙচুর, হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সমিতির হল রুমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন কমিটি ইফতারের আয়োজন করলে একইস্থানে আরেকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন বিএনপিপন্থী এডহক কমিটির নেতারা।

বিকেল ৪টার দিকে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি, বিশৃঙ্খলা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল ও একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে প্রায় আধাঘণ্টা সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলে। একপর্যায়ে আন্দোলনরত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সেখান থেকে চলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আইনজীবী সমিতির কয়েকজন সদস্য দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনে কারচুপি এবং স্বঘোষিত নেতাদের কারণে গত ৩ সপ্তাহ ধরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।'

'দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সরকার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছে। সেদিন পুলিশ বাহিনী আইনজীবী ও সাংবাদিকদের লাঠিপেটা করেছে। আমরা আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর এমন নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানাই। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দাবি ও আন্দোলন চলবে,' বলেন তিনি।  

এদিকে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুন নুর দুলাল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'এডহক কমিটির নামে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনপুষ্ট আইনজীবীরা এ হামলা চালিয়েছে। তথাকথিত এডহক কমিটি, একটি প্রহসনের কমিটি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। যারা আইনজীবীদের ওপর হামলা করেছে ও আহত করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

গত ১৫ ও ১৬ মার্চ আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলা এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দুই দিনের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এটিকে 'প্রহসনের নির্বাচন' দাবি করে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের প্যানেল বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নির্বাচনে ১৪টি পদের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে।

এদিকে, ১৫ এবং ১৬ মার্চের নির্বাচন বর্জন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যদের একটি দল আগামী ১৪ এবং ১৫ জুন নতুন বার্ষিক নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Comments