‘ধর্মঘটে কারাদণ্ড’ বিল প্রত্যাহারের দাবি পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
ছবি: সংগৃহীত

ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রেখে সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

আজ সোমবার ফেডারেশনের বার্তা সম্পাদকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার সংসদে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল ২০২৩ উত্থাপন করা হয়। এতে বিধান রাখা হয়, সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে। 

সেই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বেআইনি ধর্মঘট শুরু করলে বা চলমান রাখলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তবে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী এক যৌথ বিবৃতিতে এ বিলকে শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। 

'ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার' উল্লেখ করে তারা বলেন,  'সংবিধান, আইন, আইএলও কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান সবখানেই শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকারের স্বীকৃতি আছে। শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। আলাপ আলোচনার সমস্ত দরজা বন্ধ হলেই ধর্মঘট আহ্বান করে থাকে।'

'প্রতিবাদের এই সর্বশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া,' বলেন নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে বলা হয়, মহান মে দিবসের প্রাক্কালে এই বিল উত্থাপন মে দিবসের সংগ্রামী ইতিহাসকে অস্বীকার করা। এমন কোনো খাত নেই, যা অত্যাবশ্যকীয় সেবাখাতের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে না। ফলে ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। 

এতে আরও বলা হয়, এই বিল আইনে পরিণত হলে তা মালিকদের সুরক্ষা এবং শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন ও শাস্তি প্রদানের হাতিয়ারে পরিণত হবে।

পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মতে, জরুরি সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। এই বিল আইনে পরিণত হলে তা শুধু ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারকে সংকুচিত করবে তাই নয়, শ্রমিকদের আইনসঙ্গত আন্দোলনের পথও রুদ্ধ করবে।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

9h ago