পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী কোনো ঝুঁকি নেই। তবে নববর্ষের সময় অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। অনেক কিছু রটানোর চেষ্টা করবেন অনেকে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করছে। আমাদের কাছে বড় কোনো তথ্য এখনো আসেনি।'
তিনি বলেন, 'আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি, সারা দেশে কতগুলো জায়গায় ঈদুল ফিতরের জামাত হবে। আগের দিনও কয়েক জায়গায় ঈদের জামাত হয়। সেখানে যেন কোনো রকম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি না হয়—আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। পুলিশের জরিপ অনুযায়ী প্রায় ৯৮ হাজার স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ, বিজিবি, আনসার, সবাই সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন যাতে কোনো জায়গায় জন দুর্ভোগ না হয়।'
'ঈদের ৩ দিন আগে থেকে নির্মাণ সামগ্রী বহন করা ট্রাক চলাচল; সিমেন্ট, রড, বালু পরিবহন বন্ধ থাকবে। ঈদের পরের দিন থেকে আবার চালু হয়ে যাবে। লং ভেহিকেলও এই সময় বন্ধ থাকবে। অন্যান্য মালবাহী ট্রাক চলাচল করবে,' বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গাড়ির ফ্লো যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেই জন্য যদি ইনফরমেশন থাকে তাহলে গাড়ি রাস্তায় আটকানো হবে। এছাড়া কোনো গাড়ি আটকানো হবে না।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'মহাসড়কে পুলিশ, র্যাব, হাইওয়ে পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা সমন্বয় করে কাজ করবে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করে সেই জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'
যানজট নিরসনে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং মনিটর করবে, জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদক চোরাচালান রোধ ও সীমান্ত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) দেওয়া হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে যে কোনো সহায়তায় পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, 'দেশের বড় বড় মার্কেটগুলোর যেখানে প্রয়োজন মনে হয়, ফায়ার সার্ভিস মহড়ার মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ঈদের আগেই। বঙ্গবাজার মার্কেট কিছু দিন আগে দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছিল, যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেই জন্য ফায়ার সার্ভিস প্রত্যেকটা মার্কেটে যাচ্ছে। আগুন ধরলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে তার সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। কতগুলো মার্কেট তারা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন, সেগুলো প্রেস নোটে তারা বিস্তারিত জানাবেন।
'ঈদের ছুটিতে সড়ক-মহাসড়ক ও নৌ পথে আকস্মিক দুর্ঘটনা হলে উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী, রেসকিউ বোট, ডুবুরি সব সময় প্রস্তুত থাকবে। শিল্পাঞ্চল ও বাণিজ্যিক এলাকায় সম্ভাব্য দুর্ঘটনার জন্য অগ্নিনির্বাপণ প্রতিষ্ঠানগুলো সচল থাকবে,' বলেন তিনি।
ঈদে মোটরসাইকেল চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি আমরা দিচ্ছি না। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছি, মাওয়া ঘাটে ফেরি চালু থাকবে শুধু মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য।'
হাইওয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ম মেনে চলবে বলেও জানান তিনি।
Comments