প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন এ কথা বলেছেন।

গত ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছিলেন, 'আমেরিকা চাইলে যেকোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে পাল্টাতে পারে। দেশটা গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটা সরকার আনতে চাচ্ছে, তার গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।'

এমন বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেহেলি সাবরিন বলেন, 'আমি তা মনে করি না। কারণ আমরা খুব ভালো আলোচনা করেছি এবং আলোচ্যসূচিতে থাকা সমস্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি।'

গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন তার বক্তৃতায় আরও বলেছিলেন, 'বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য আমরা বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাকে ফেরত দিচ্ছে না।'

এদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানোর পর টেনেসির দুই আফ্রো-আমেরিকান আইনপ্রণেতা বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু আরেক আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়, গত ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এর সমালোচনা করেছিলেন।

 

Comments