নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা।
president-pm.jpg
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা।

শুভেচ্ছা বার্তায় রাষ্ট্রপতি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

নববর্ষ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন। আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।'

তিনি বলেন, 'বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ। নতুনের বার্তা নিয়ে বেজে উঠে বৈশাখের আগমনী বার্তা। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে মহানন্দে। ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।' রাষ্ট্রপতি বলেন, 'পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা।'

তিনি বলেন, 'বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিক চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।'

আবদুল হামিদ বলেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য পরম গৌরব ও মর্যাদার।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশিয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দীদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন করেছিলেন।

আবদুল হামিদ বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি যোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।

রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, নতুন বছর সকল অশুভ ও অসুন্দরের উপর সত্য ও সুন্দরের জয় এবং ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর করে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। 

নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল অন্ধকার ও বাধা বিপত্তি দূর করে আগামী বছরগুলোতে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কামনা করেছেন। তিনি বলেন, 'এই শুভ নববর্ষের প্রাক্কালে আমাদের প্রার্থনা এই যে, আমরা যেন সমস্ত অন্ধকার ও বাধা বিপত্তি দূর করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি।'

বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে দেশের সব গণমাধ্যমে প্রচারিতব্য এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নানা ধরনের বাধা বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দেশ আরও একটি বছর পার করেছে।

দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, 'শুভ নববর্ষ'।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago