তীব্র গরমে বেঁকে যেতে পারে রেললাইন, ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ

তীব্র গরমে বেঁকে যেতে পারে রেললাইন, ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ
তীব্র গরমে বেঁকে যেতে পারে রেললাইন, ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছবি: মাসুক হৃদয়/স্টার

তীব্র দাবদাহের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে রেলপথের বিভিন্ন অংশে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

অতিরিক্ত গরমের কারণে এই রেলপথের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে সবগুলো আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চালাতে লোকো মাস্টারদের নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

এ ছাড়া মালবাহী ট্রেনগুলোকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এই রেলপথে স্বাভাবিক সময়ে ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ট্রেন চলাচল করতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দাবদাহের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করে।'

আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণ পরিবেশের তাপমাত্রার চেয়ে রেললাইনে তাপমাত্রার পরিমাণ সব সময়ই বেশি থাকে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেললাইনের পাত গলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ কারণে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকার কারণে গত ১১ এপ্রিল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে এরকম নির্দেশনা বলবৎ আছে। 

আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের প্রকৌশল বিভাগের একটি দল রেললাইন ঠান্ডা করার কাজ করছেন। মাত্রাতিরিক্ত গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তারা পানি, কচুরিপানা ও কাদামাটি দিয়ে রেললাইন ঠান্ডা করছেন। 

সেখানে কাজে নিয়োজিত আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মনিরুল ইসলামও অতিরিক্ত গরমে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, 'আজ শুক্রবার রেললাইনের পাশে তাপমাত্রা ৩৭-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছিল।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Israel stands down alert after Iran missile launch

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

23h ago