টিকিটবিহীন যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, 'স্টেশনগুলোতে আমরা এক্সেস কন্ট্রোল করেছি, কাজেই টিকেটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না।'

তিনি বলেন,' অতীতে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের চাপের কারণে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো। আমরা এবার সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কমলাপুর, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর স্টেশনে অস্থায়ী বাঁশের বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা সারিবদ্ধভাবে টিকেট প্রদর্শন করে ঢুকতে পারে এবং টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী ঢোকার সুযোগ না পায়।'

আজ রোববার ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, 'আমাদের ২টি প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এ সময় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য এবং গ্রামের বাড়িতে ঈদ কাটানোর উদ্দেশ্যে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা শহর থেকে গ্রামে আসা-যাওয়া করে। পরিবহনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে রেলওয়ে। ঈদের সময় যাত্রীদের আসা-যাওয়ার প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়। এই চাপ সামলানোর জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকি এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিয়ে থাকি। আমাদের সে পরিকল্পনা আমরা ১ মাস আগেই মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'মন্ত্রণালয় ও রেলের পক্ষ থেকে যে অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি নেওয়া দরকার আমরা সেটা নিয়ে থাকি। এ বছর রেলওয়ের সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন নেওয়া হয়েছে তা হলো, ঈদের ৫ দিন আগে ও ঈদের ৫ দিন পরে এই ১০ দিন আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে এবং আগামীকাল ১৭ তারিখ থেকে ঈদের ট্রেন চলা শুরু হবে। এই ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং সেগুলো যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য আমরা গ্রহণ করেছি। আজকে আমরা কমলাপুর পরিদর্শনে এসেছি সার্বিক প্রস্তুতি দেখার জন্য। এখানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। যাত্রীদের অধিকতর নিরাপদ যাত্রার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত আমরা বিভিন্ন পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।'

মন্ত্রী বলেন, '১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের পূর্ব দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান,পঞ্চগড় নীলসাগর, কুড়িগ্রাম,লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না, কারণ এসব ট্রেনে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীরা সিট দখল করে থাকে।'

সিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, 'আমাদের বেশিরভাগই সিঙ্গেল লাইন। কোনো একটি ট্রেনের ১০ মিনিট বিলম্ব হলে অনেক ট্রেনগুলোকে বিলম্বের মুখে পড়তে হয়। তাছাড়া এখনকার আবহাওয়ার তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাই গতি কম রাখতে হচ্ছে।'

 কাজেই এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে যাত্রী সাধারণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।

স্টেশন পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন সরদার শাহাদত আলী সহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

1h ago