গোর–এ–শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত দেশের অন্যতম বৃহৎ এ ঈদগাহে আজ শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ঈদুল ফিতরের নামাজ। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করতে পেরে সন্তুষ্ট দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিরা।
বৃহৎ এই জামাতের প্রধান উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে এবার একসঙ্গে প্রায় ৬ লাখ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।'
আগামীতে মুসল্লি বাড়লে মাঠের পরিধি সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, ময়দানটি প্রায় ২২ একরের। ১৯৪৭ সাল থেকে এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে ২০১৭ সাল থেকে বৃহৎ পরিসরে ঈদের জামাত শুরু হয়।
এই ময়দানের পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন মিনার।
ঈদের জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের জন্য স্থাপন করা হয় শৌচাগার, রাখা হয় ওজুর ব্যবস্থা। বসানো হয় মেডিকেল টিম। মাঠে প্রবেশের জন্য বসানো হয় ১৯টি গেট। পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে নেওয়া হয় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ খুব সকাল থেকেই মুসল্লিরা সমবেত হতে শুরু করেন ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে। ৯টার আগেই প্রায় পূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ মাঠ।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গোর-এ-শহীদ ময়দানে নামাজ আদায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে করা হয় মাইকিং।
বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেওয়ার সুবিধার্থে আগামীতে ট্রেনসহ বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আয়োজকরা।
Comments