সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদনের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের জের ধরে যমুনা টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আমিনুল ইসলাম

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের জের ধরে যমুনা টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম তদন্তে গঠন করা একটি কমিটির সঙ্গে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে সুনামগঞ্জ সদরের লালপুর এলাকায় তার ওপর হামলা হয়। আমিনুলকে সুনামগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অধিকতর চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে।

যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপন বলেন, 'সপ্তাহখানেক আগে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম বিষয়ক একটি প্রতিবেদন করেন আমিনুল। এ প্রতিবেদনের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি আজ ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদের তলবে আমিনুলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।'

আমিনুলকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, 'ঘটনাস্থলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপলের সঙ্গে আমিনুলের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে চপলের গাড়িতে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত আসেন আমিনুল। গাড়ি থেকে নামার পরই তার ওপর হামলা হয়। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে সিলেট আনা হয়েছে।'

এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খায়রুল হুদা চপল বলেন, 'আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ঘটনাস্থলে ছিলাম এবং আমাদের মধ্যে কোন কথা-কাটাকাটি হয়নি। তদন্ত কমিটির সামনে আমিনুল স্বীকার করেছেন যে রিপোর্টটিতে তার ভুল হয়েছে। আশ্রয়ণের সুবিধাভোগীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হলে আমি তাকে রক্ষার জন্য আমার গাড়িতে করে নিয়ে আসি।'

তিনি বলেন, 'উপজেলা পরিষদের সামনে নিজের মোটরসাইকেলের কাছে আমিনুল নেমে যায়। এরপর আমি রওনা দেওয়া মাত্র দেখি তার সঙ্গে এক যুবকের ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। তখনই আমি গাড়ি থেকে নেমে চলে আসি। তারপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমি নিজেও তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি।'

চপল বলেন, 'তার ওপরে হামলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সম্পৃক্ততা আছে বলে আমি মনে করি না। বিভিন্ন ধরনের রিপোর্টের কারণে তার শত্রুও অনেক। অন্য কোন কারণে তার ওপর হামলা হয়েছে বলে আমার ধারণা।'

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, 'হামলার বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়েছে। আমরা অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।'

Comments