চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট: কেরোসিনের চুলা নেই, ইনডাকশন কুকারের দামও চড়া

চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট: কেরোসিনের চুলা নেই, ইনডাকশন কুকারের দামও চড়া
ছবি: মোহাম্মদ সুমন/স্টার

চট্টগ্রামে গ্যাস না থাকায় কেরোসিন ও ইনডাকশন কুকারের দোকানে ভিড় করছেন নগরবাসী। তবে হঠাৎ চাহিদা সামাল দিতে না পারায় অধিকাংশ মানুষকে দোকান থেকে হতাশা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, এসব পণ্যের দাম দেড় থেকে ২ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। 

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গত ২ দিন ধরে আমদানি করা এনএলজি খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে গত ২ দিন ধরে পাইপলাইনে থাকা গ্যাস দিয়েই চলছিল নগরবাসী। গত ২ দিন গ্যাসের চাপ কম থাকলেও আজ থেকে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

সরেজমিনে চট্টগ্রাম মুরাদনগর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানের কোনোটিতেই কেরোসিনের চুলা নেই। ইনডাকশন কুকারও শেষ হয়ে গেছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি দোকানে। 

চট্টগ্রাম হামজার বাগ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, সকাল থেকে বাসায় কোনো রান্না হয়নি। বাজার থেকে এনে নাস্তা করা হলেও দুপুরে কী হবে তা জানি না। এত টাকা দিয়ে ইনডাকশন চুলা কেনার সামর্থ্য নেই। কেরোসিনের চুলা কেনার জন্য এসেছিলাম। চট্টগ্রাম অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো হয়ে সবশেষে মুরাদপুর এলাম। এখানে কোনো কেরোসিনের চুলা পেলাম না। 

মুরাদপুর ভূঁইয়া কুকারিজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে অন্তত ২০০টিরও বেশি কেরোসিনের চুলা বিক্রি করেছেন তিনি। কেরোসিনের চুলের জন্য অনেকে এলেও ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।

আল আমিন নামের আরেকজন কথা বলেন, রাইস কুকার এবং ইনডাকশন কুকারের দাম দেড় থেকে ২ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালে আমার প্রতিবেশী কেরোসিনের চুলা ৩৫০ টাকায় কিনেছিলেন তা এখন ৮০০ টাকায় কিনতে পেরেছি। তাও দোকানে একটিই ছিল।' 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়। যার সবটাই আমদানিনির্ভর এনএলজি থেকে। যার মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রয়োজন আবাসিক খাতে। অন্তত আবাসিক খাতের চাহিদা মেটানোর জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তা পাওয়ার নিশ্চয়তা এখনো দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, 'জাতীয় গ্রিড থেকে কোনো গ্যাস দেওয়া না হলে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে না।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago