বাংলাদেশ অংশে পাথর তোলার সময় বিএসএফের গুলিতে শ্রমিক আহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নদী থেকে পাথর তোলার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে পলাশ হোসেন (৩৫) নামে এক পাথর শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা বগুলাহাটি এলাকার করতোয়া নদীতে মেইন পিলার ৭৩৯ এর ১ আর এবং ২ আর পিলারের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. যোবায়েদ হাসান।
আহত পাথর শ্রমিক পলাশ হোসেন ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাটি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। বিএসএফের ছোঁড়া গুলি তার পেটে বিদ্ধ হয়েছে।
করতোয়া নদীর বাংলাদেশি অংশে পাথর তোলার সময় ভারতের ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গ্রীনগছ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে ওই পাথর শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানায় বিজিবি।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও আজ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
আহত শ্রমিকের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবির আলী বলেন, 'প্রতিদিনের মতো আজও পলাশ হোসেনসহ ১০ থেকে ১২ জন করতোয়া নদীতে পাথর তুলতে যান। দুপুর ২টার দিকে ভারতের গ্রীনগছ বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পলাশের পেটে গুলি লাগে।'
তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয়দের সহায়তায় অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।'
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিব উল হাসান বলেন, 'দুপুর ৩টার দিকে পলাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তার পেটের বাম দিকে গোলাকার ক্ষত দেখা যায়। ওই ক্ষত দিয়ে নাড়ি-ভুঁড়ির কিছু অংশ বেরিয়ে এসেছে এবং রক্তক্ষরণও হচ্ছিল। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. যোবায়েদ হাসান বলেন, 'নদীতে পাথর উত্তোলনের সময় ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে ওই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান জানানো হয়েছে।'
Comments