ঢাবির হলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়েছে: সারজিস আলম

পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর ইয়ুথ’ অনুষ্ঠানে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত 'কনসার্ট ফর ইয়ুথ' অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা পঞ্চগড় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনের পাশে দাঁড়িয়ে সারজিস বলেন, 'আমাদের একটি স্পেশাল বৈশিষ্ট্য আছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আমাদের বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'যখনই আমাদের সুযোগ হয়েছে, তখনই সেই শৃঙ্খল ভেঙে আমরা বুক চিতিয়ে ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর শাহাবাগে লড়াই করেছি। আমার সঙ্গে থাকা এই সহযোদ্ধারা গত ১ থেকে ১৫ জুলাই প্রতিটি দিন ওই হল ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির মুখের সামনে তাদের না করে দিয়ে আলাদা ব্যানার নিয়ে শাহবাগে আসত।'

গুজব ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, 'গুজব লীগ গুজব ছড়াবে। হাজার-হাজার কোটি টাকা পাচার করে, মুখে চুনকালি মেখে যখন আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারে না, তখন কাঁটাতারের ওপার থেকে তারা "আম্মা"র কথায় প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। তাদের জননী এবং তাদের কোনো সন্তানকে এই বাংলাদেশে আমরা আর প্রশ্রয় দেব না।'

সারজিস আলম বলেন, 'আমরা তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে নতুন করে যদি আগামীর পঞ্চগড় নিয়ে লড়াই শুরু করি, যে লড়াইয়ে কোনো ব্যক্তিস্বার্থ থাকবে না, কোনো দলীয় স্বার্থ থাকবে না, সবার আগে পঞ্চগড়ের মানুষের স্বার্থ থাকবে। এই লড়াই যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে করতে পারি, তাহলে আগামীতে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া যে জেলা বলা হয় পঞ্চগড়, সেই জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে এগিয়ে যাওয়া জেলা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

5h ago