মোদি-বাইডেন বৈঠকে বাংলাদেশ এবং সেন্টমার্টিন লিজ নিয়ে মুনীরুজ্জামানের বিশ্লেষণ

‘সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য থেকে আমরা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারছি না। সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্র কী চেয়েছে, কীভাবে চেয়েছে, সরকারের উচিত তা প্রকাশ করা। কারণ, এসব তো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে করে না।’
মোদি-বাইডেন বৈঠকে বাংলাদেশ, ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের তাৎপর্য

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসবে কি না, সেটা এখন আমাদের রাজনীতির অন্যতম আলোচনার বিষয়। এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর সঙ্গে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা বা না থাকার সম্পর্কের কথাও বলছেন তিনি। আলোচনায় আছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাম্প্রতিক চীন সফরও।

দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয় নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট, আন্তর্জাতিক পরিপ্রক্ষিত ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামানের সঙ্গে।

মোদি-বাইডেন বৈঠকে বাংলাদেশ

দ্য ডেইলি স্টার: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপের পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মোদি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ সামনে আনবেন, এটা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোরাল আলোচনা চলছে। আপনার বিশ্লেষণ কী? ২ রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে তৃতীয় দেশ দেশ নিয়ে আলোচনা হবে?

মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান: মোদি ও বাইডেনের যে বৈঠক হতে যাচ্ছে, সেটা ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কী ধরনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে, তার একটা পরিষ্কার ধারণা ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আলোচনা ও বিশ্লেষণে পেয়েছি। বিশেষ করে গত সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যে ব্রিফিংটা দিয়েছেন এই সফর ও এজেন্ডার ওপরে, সেখানে তারা আবার সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন। আমরা আগে থেকেই বিভিন্ন বিশ্লেষণে এই এজেন্ডাগুলো দেখে এসেছি। সেখানে বাংলাদেশের ওপর আলোচনার কোনো উল্লেখ কোনোভাবেই করা হয়নি।

প্রধানত যে বিষয়গুলো দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনা হবে, সেটার প্রথমে আছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা। এটা ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় যে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে, সেটা প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বা টেকনোলজি ট্রান্সফারের ব্যাপারে। তৃতীয় বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান। ভারত যে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে, সেগুলোর ব্যাপারে একটা সঠিক ধারণা পেতে চাইবে যে, কী ধরনের তথ্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পেতে পারে।

এ ছাড়া ভারত কোয়াডের সদস্যভুক্ত দেশ। সে হিসেবে তাদের বেশ কিছু বিষয় আছে আলাপ-আলোচনা করার, বিশেষ করে চীনের ব্যাপারে। সেসব আলোচনা আসবে।

এখানে হালকাভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় আসতে পারে, নাও আসতে পারে।

ডেইলি স্টার: ভারতের জন্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। সেই জায়গায় তো বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে।

মুনীরুজ্জামান: ভারতের জন্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বাংলাদেশ এখানে গুরুত্বপূর্ণ না। এখানে ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কী ধরনের তৎপরতা হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত সমস্যা এবং চীনের যেসব সীমান্তে তাদের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতের সম্ভাবনা আছে, সেখানে কী ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে সেগুলো। এখানে বাংলাদেশের ব্যাপার আসার সম্ভাবনা আমি নাকচ করে দিতে চাই।

২টি বড় দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভেতরে বাংলাদেশের ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনাটা একেবারেই শূন্য বলা যেতে পারে।

ডেইলি স্টার: আলোচনায় আছে যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিনে বেজ করতে চায়, চীন এখানে আসতে চায়, ভারতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ঠেকাতে চায়—এসব বিষয় কি বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রাখছে?

মুনীরুজ্জামান: বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল বা দেশ হিসেবে এখন পরিগণিত, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ২টি বড় দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভেতরে বাংলাদেশের ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনাটা একেবারেই শূন্য বলা যেতে পারে। বিশেষ করে, যে অল্প সময় এই বৈঠকটা হবে, সেখানে আলোচনা করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার তাদের রয়ে গেছে। দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার ছাড়া যেটা আলোচনায় আসবে, সেটা হচ্ছে চীন এবং কিছুটা ইন্দো-প্যাসিফিক।

সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য থেকে আমরা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারছি না। সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্র কী চেয়েছে, কীভাবে চেয়েছে, সরকারের উচিত তা প্রকাশ করা। কারণ, এসব তো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে করে না।

ডেইলি স্টার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপের লিজ চায়, সেখানে বেজ করতে চায়—এমন একটা আলোচনা রাজনীতিতে ছিল। আজ প্রধানমন্ত্রীও এ কথা বললেন। আপনার বিশ্লেষণ বা পর্যবেক্ষণ কী?

মুনীরুজ্জামান: সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গ এই প্রথম নয়, এর আগেও আলোচনায় এসেছে। তখন ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছিল যে তারা এ ধরনের কিছু চায়নি। সেন্টমার্টিনের নাম তারা বলেনি, কিন্তু এটা বলেছে যে তারা বাংলাদেশের কোনো টেরিটরির ওপর কিছু চায়নি।

যেসব দেশে আমেরিকা বেজ করেছে, তার প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল? সেখানে দীর্ঘমেয়াদী আলোচনা হয়েছে, বিশদ চুক্তি হয়েছে এবং সেগুলো প্রকাশ্যে হয়েছে। গোপনে নয়, প্রকাশ্যে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয় লুকিয়ে করা হয় না। এগুলো দীর্ঘ আলোচনা ও চুক্তির ব্যাপার।

সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য থেকে আমরা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারছি না। সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্র কী চেয়েছে, কীভাবে চেয়েছে, সরকারের উচিত তা প্রকাশ করা। কারণ, এসব তো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে করে না।

ডেইলি স্টার: ধারণা দেওয়া হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত চাপে বাংলাদেশ ক্রমশ চীনের দিকে ঝুঁকে যাবে বা যাচ্ছে। ভারতের পাশে থাকা বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার দিকটা থেকে কি বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে?

মুনীরুজ্জামান: না, তা হবে না। গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলোর তালিকা আছে, সেখানে এটা আসবে না। এটা গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়ই, কিন্তু দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ক্ষেত্রে অত গুরুত্বপূর্ণ না যে ২ দেশের নেতার মধ্যে আলাপ-আলোচনার এই সীমিত সময়ের মধ্যেও এটা জায়গা পাবে। এটার প্রাধান্য পাওয়া বা আলোচনায় আসার সুযোগ নেই বললেই চলে। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যে ধারা বর্তমানে চলছে, সে ধারাতে অনেকে আশা করছেন যে এই ধরনের আলাপ হতে পারে।

বাংলাদেশের গণমাধ্যম দেখার পর মনে হচ্ছে যে মোদি বাংলাদেশের ব্যাপারে আলাপ করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন।

ডেইলি স্টার: ভারতের কিছু মিডিয়ার সূত্র ধরে বাংলাদেশের পত্রিকাতে এ ধরনের কিছু খবর প্রকাশ পেয়েছে যে মোদি-বাইডেন আলোচনায় বাংলাদেশ ইস্যু প্রাধান্য পাবে। আমরা কি তাহলে ভারতের মিডিয়ার চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি?

মুনীরুজ্জামান: ভারতীয় মিডিয়ার সূত্রে বাংলাদেশে খবর প্রকাশ হলেও, ভারতীয় মিডিয়া কোনো সুনির্দিষ্ট সূত্র উল্লেখ করেনি। আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় হচ্ছে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সোমবার ব্রিফিংয়ে কী বলেছেন এবং বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাদের বিশ্লেষণে কী বলছে। সেই বিশ্লেষণগুলোতে বাংলাদেশ ইস্যু এবং বাংলাদেশের ধারে কাছে আঞ্চলিক কোনো ইস্যুর কথা একেবারেই উল্লেখ করা হয়নি। টাইম ম্যাগাজিনের কথা যদি বলি, তারা খুব সুন্দরভাবে এজেন্ডাগুলো বিশ্লেষণ করে দিয়েছে।

ডেইলি স্টার: এ ধরনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা খাতের মতো কিছু বিষয় ছাড়া বাকি সবকিছু নিয়েই উভয়পক্ষ থেকে কথা বলা হয়। গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের গোপন এজেন্ডায় কি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ থাকতে পারে?

মুনীরুজ্জামান: না, থাকতে পারে না। আলোচনার পর যখন রিড-আউট বের হবে, সেখানে দেখতে পাবেন যে পূর্ব প্রকাশিত এজেন্ডার সঙ্গে রিড-আউটের সম্পূর্ণ মিল থাকবে। মোদি-বাইডেন বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ক আলোচনার ব্যাপারে বলতে চাই, এগুলো কিছুটা উইশফুল স্পেকুলেশন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম দেখার পর মনে হচ্ছে যে মোদি বাংলাদেশের ব্যাপারে আলাপ করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন।

আসলে যদি এমন কিছু হতো তাহলে টাইম ম্যাগাজিন, অ্যাটলান্টিক—এসব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে উল্লেখ থাকত। তারা বলতো যে প্রতিবেশী দেশ নিয়ে আলাপ করবে, আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলাপ করবে। বাংলাদেশের কথা উল্লেখ না করলেও এটা বলত। অথচ, কোনো জায়গাতে এ ধরনের কিছুই নেই।

তাদের শীর্ষ ৩ জন পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রত্যেকেই ভারত সফর করে গেছেন। এসব সফরেও প্রধানত দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, চীনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের তাৎপর্য

ডেইলি স্টার: নরেন্দ্র মোদি যে সময়ে ওয়াশিংটন সফরে গেলেন, তার দুয়েকদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীন সফর করলেন। এটা কি কাকতালীয়, নাকি এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে?

মুনীরুজ্জামান: ব্লিঙ্কেনের সফরের জন্য আগে থেকেই তারিখ নির্ধারণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। চীনের পক্ষ থেকে কিছুটা স্লো রিয়েকশন ছিল, কিন্তু পরে তারিখ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্লিঙ্কেন গেছেন।

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গত কয়েক মাসে ৩টা গুরুত্বপূর্ণ সফর হয়েছে। সম্প্রতি হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার, তার আগে হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের, তার ২-৩ মাস আগে হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

তাদের শীর্ষ ৩ জন পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রত্যেকেই ভারত সফর করে গেছেন। এসব সফরেও প্রধানত দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, চীনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে আরেকটি বড় শক্তির সঙ্গে উত্তেজনা কম রেখে কীভাবে রেসপন্সিবলি ম্যানেজ করা যায়।

ডেইলি স্টার: ব্লিঙ্কেন চীন সফরে গিয়ে 'এক চীন' নীতির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জোরাল অবস্থান স্পষ্ট করলেন। তাইওয়ানের স্বাধীনতা চায় না, তাও স্পষ্ট করলেন। এটা কি তাইওয়ান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহুবার বলা কথারই প্রতিধ্বনি, নাকি এর মধ্যে কোনো নতুনত্ব আছে?

মুনীরুজ্জামান: এখানে নতুনত্ব দেখছি। কারণ তারা আবারও বিষয়টি নিশ্চিত করল। বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখেছি যে তাইওয়ানের স্বাধীনতার ব্যাপারে বেশ কিছুটা এগিয়ে আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা করছিলেন। সে ধরনের আশঙ্কা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার ভাষায় বলেছে যে, 'আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না'।

ডেইলি স্টার: চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এত টানাপোড়েনের মধ্যেই এমন একটি সফর এবং এত জোর দিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলা—এর কি বিশেষ কোনো তাৎপর্য আছে?

মুনীরুজ্জামান: এর তাৎপর্য হচ্ছে, তারা উত্তেজনা কিছুটা কমিয়ে আনতে চাচ্ছে। উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এখানে দুদিকের স্বার্থই জড়িত আছে। যে কথাটা যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমাদের সম্পর্কটা রেসপন্সিবলি ম্যানেজ করতে হবে। কাজেই এটাকে একটা বড় সমস্যা হিসেবে তারা চিহ্নিত করে উত্তেজনা কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে আরেকটি বড় শক্তির সঙ্গে উত্তেজনা কম রেখে কীভাবে রেসপন্সিবলি ম্যানেজ করা যায়।

Comments

The Daily Star  | English
pharmaceutical industry of Bangladesh

Pharma Sector: From nowhere to a lifesaver

The year 1982 was a watershed in the history of the pharmaceutical industry of Bangladesh as the government stepped in to lay the foundation for its stellar growth in the subsequent decades.

15h ago