নিয়োগ বাণিজ্য

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি-রেজিস্ট্রারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ একিউএম নাছির উদ্দীন।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও সাবেক রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হক। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও সাবেক রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হকের বিদেশ গমনে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

তাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ একিউএম নাছির উদ্দীন।

দুদক সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আলী মরতুজা আজ রোববার আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, 'দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার যাতে অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার জন্য দরখাস্তটি করেন।'

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়া অস্থায়ীভাবে ১০৯ জনকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর ২০২১ সালের নভেম্বরে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। কমিটির অনুসন্ধান অনুযায়ী ১০৯টি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী তার স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া, রাজনৈতিক সুপারিশ, ইউজিসির কর্মকর্তাদের সুপারিশ, গণমাধ্যমকর্মীদের সুপারিশেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের দরখাস্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

আদালতে দেওয়া দরখাস্তে দুদক কর্মকর্তা অভিযুক্তদের দেশ ত্যাগ করে পলাতক হওয়া এবং অনুসন্ধান কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments