হোলি আর্টিজান হামলার ৭ বছর: এখনো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়

হোলি আর্টিজানে হামলা
হোলি আর্টিজানে জঙ্গিবিরোধী ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনায় প্যারা কমান্ডো বাহিনী। ছবি: আইএসপিআর/ফাইল ফটো

ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি ও বিদেশি ২২ জনের পরিবারের সদস্যরা এখনো ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এখনো এই মামলার শুনানি হাইকোর্টে চলছে।

এর আগে, নিম্ন আদালত মামলায় ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই রায় খতিয়ে দেখতে চলতি বছরের মে থেকে শুনানি শুরু করেন হাইকোর্ট।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্টে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা।

ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) অনুযায়ী, নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হলেও অপরাধীকে এই শাস্তি দেওয়ার আগে অবশ্যই সে রায়কে হাইকোর্টের নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ গত ২২ জুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের আইনজীবীদের মামলার পেপারবুক পড়ে শোনান।

পেপারবুকে মামলার সব বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

শুনানি আবারও শুরু হলে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা বেঞ্চের সামনে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এরপর বাদীপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবেন।

আগামী ২০ জুলাইয়ের পর বেঞ্চের একজন বিচারক হজ থেকে দেশে ফিরলে এ মামলার শুনানি পুনরায় শুরু হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, হাইকোর্ট কয়েক মাসের মধ্যেই এই মামলার রায় দিতে পারে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি ও গ্রেনেড নিয়ে ৫ জঙ্গি ঢুকে পড়ে এবং সেখানে যারা ছিলেন, তাদের জিম্মি করে। পরবর্তীতে জঙ্গিরা ৩ বাংলাদেশি, ৭ জাপানি, ৯ ইতালীয় ও ১ ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করে।

সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের উদ্ধার অভিযানে জঙ্গিরা নিহত হয়। ১২ ঘণ্টার সংঘর্ষে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ক্যাফের ১ শেফও নিহত হন। পরে রেস্তোরাঁর ১ আহত কর্মীও মারা যান।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ট্রাইব্যুনাল এ ঘটনাকে অপমানজনক ও বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র হননের লক্ষ্যে চালানো হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।

ট্রাইব্যুনাল মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

Comments

The Daily Star  | English
High Court

HC to deliver verdict over quick rental law Nov 14

Sections 9 and 6(2) of the Quick Enhancement of Electricity and Energy Supply (Special Provisions) Act 2010 protect rental and quick rental power plants from legal challenges

24m ago