বাঁশখালী ইকোপার্কে নির্ধারিত প্রবেশ মূল্যের বেশি আদায়, দর্শনার্থীদের ক্ষোভ
পরিবার নিয়ে ঘুরতে রোববার চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্কে গিয়েছিলেন চন্দনাইশের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। পার্কের প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা হলেও জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৫০ টাকা।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পার্কে ঢুকতে আমাদের পরিবারের ৭ জনের জন্য ৩৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে।
'প্রবেশ মূল্য বেশি কেন নিচ্ছেন- জানতে চাইলে কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে এর চেয়ে দ্বিগুন টাকা গুনতে হবে,' বলেন তিনি।
বাঁশখালীর পুঁইছড়ি এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পার্কটিতে আকর্ষণীয় কোনো রাইড নেই। তবুও মানুষ বিকল্প না পেয়ে সেখানে যান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন না করে জোর করে প্রবেশ মূল্য বেশি আদায় করছেন।
এদিকে অতিরিক্ত প্রবেশ মূল্য আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন পার্কটির ইজারাদারও।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম বাঁশখালী ইকোপার্কটি ইজারাদারদের মাধ্যমে পরিচালনা করে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত পার্কটিতে উঁচু-নিচু পাহাড়, লেক, ঝুলন্ত সেতু, রেস্ট হাউস, বনাঞ্চল এবং নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে।
গত মাসে ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে হামিদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে পার্কটি ইজারা দিয়েছে বনবিভাগ।
তবে স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে পার্কটি সাব-কন্ট্রাক্টে দিয়েছে বলে জানায় হামিদ এন্টারপ্রাইজ।
ইজারাদার হামিদ উল্লাহ বলেন, 'রাজনৈতিক ছোটভাইরা আমার কাছ থেকে আবদার করে পার্কটি চেয়েছে। তাই তাদেরকে দিয়েছি।'
এদিকে সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া মিনহাজুল আবেদিন ছোটন ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হামিদ এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে পার্কটি আমরা নিয়েছি। ঈদ উপলক্ষে ৩০ টাকার টিকিট আমরা ৫০ টাকা নিয়েছি কারণ পার্কের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজে আমাদের অর্থ ব্যয় করতে হয়।'
জানতে চাইলে বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইজারাদারের লোকজন আমাদের কথা অমান্য করে প্রবেশ মূল্য বেশি নিচ্ছেন। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে চুক্তি অনুযায়ী ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।'
Comments