প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি হাস্যকর: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে চাই। একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি হাস্যকর বিষয়। 
টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে পরিবেশ রক্ষায় এক দিনে এক লাখ গাছের চারা রোপণ ও সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: স্টার

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে চাই। একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি হাস্যকর বিষয়। 

তিনি বলেন, 'বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধীদল যারা এসব বলছে, এটিই তাদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। নির্বাচিত সরকার কোনোদিনই কারও দাবিতে পদত্যাগ করে না। বিএনপির এ পদত্যাগের দাবি কোনোদিনই বাস্তবায়িত হবে না।'

আজ শনিবার টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষায় এক দিনে এক লাখ গাছের চারা রোপণ ও সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আমি মনে করি- আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেই পথে বিএনপি আসবে। বিএনপি দাবি জানাতে পারে কীভাবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করা যায়, নির্বাচন কমিশন সেটি করবে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা করব। যাতে সারা পৃথিবী এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে সুন্দর ও অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দৃষ্টান্ত দেখাতে পারি।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা খুব ভালো করে জানে যে, এ দেশে সবকিছুই আমাদের সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের বাইরে কিছুই করার কোনো সুযোগ নেই। নির্দলীয় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে তারা কিছু বলেনি, তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তাদের দাবি খুবই জোরালো। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশ্বাস দিয়েছেন তাদের। আগামী নির্বাচন খুবই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।' 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'যেসব অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক কাঁচামরিচ, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত আছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।' 

এসময় জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এনজিও প্রতিনিধি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

Comments