দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ শতাংশ এখনো নিরক্ষর

৭-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৪০ শতাংশ এখনো নিরক্ষর।

সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) 'প্রায়োগিক স্বাক্ষরতা নিরূপণ জরিপ ২০২৩' শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জরিপে দেখা গেছে, দেশে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার ৬০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬২ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও নারী ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বিবিএসের এক কর্মকর্তা জানান, যারা পড়তে, বুঝতে, ব্যাখ্যা ও যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং লিখিত ও মৌখিকভাবে গণনা করতে পারেন, তাদেরকে সাক্ষরতার আওতায় ধরা হয়।

জরিপ উপস্থাপনকালে প্রকল্পের পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান বলেন, সাক্ষরতার হার গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। গ্রামে এ হার ৫৬ দশমিক ১২ শতাংশ এবং শহরে ৭১ দশমিক ০৬ শতাংশ।

তিনি জানান, এই হার গণনার জন্য জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন ব্যক্তি যদি ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেতে সক্ষম হন, তবে তাকে কার্যকরীভাবে সাক্ষরতার আওতায় বিবেচনা করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তাদের মধ্যে মেয়েদের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা ছেলেদের তুলনায় ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।

১১-৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ২০১১ সালের ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশের তুলনায় এবার বেড়ে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় এই হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও গ্রামীণ এলাকায় ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে, সব বয়সীদের ক্ষেত্রেই একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে।

তবে, ৭ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এ হার ৬২ দশমিক ৯২ শতাংশ।

জরিপটি ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে দেশের সব জেলায় পরিচালিত হয়েছে।

জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, 'আমরা ভালো ব্যবধানে উন্নতি করেছি। মেয়েরা ভালো করছে, যা দেশের জন্য একটি ভালো লক্ষণ। তবে এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে হবে।'

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন, বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক উত্তম কুমার দাস।

Comments