বিটিআই জালিয়াতি: মার্শাল অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ডিএনসিসির মামলা

মার্শাল অ্যাগ্রো সিঙ্গাপুর থেকে জৈব কীটনাশক ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস বা বিটিআই আমদানির দাবি করলেও, আমদানি শুল্ক নথি থেকে জানা যায় যে সেগুলো চীন থেকে আনা হয়েছিল।
উত্তর সিটি: বিটিআই ‘জালিয়াতি’ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন

এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই কীটনাশক ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী আমদানি না করায় মার্শাল অ্যাগ্রোভ্যাট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ সোমবার রাতে ডিএনসিসির সহকারী ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা রাহাত আল ফয়সাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

অপর আসামিরা হলেন-মারশাল অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলাউদ্দিন ও নির্বাহী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

এর আগে সন্ধ্যায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'আমরা এ বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে গুলশান থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ রাতেই মামলা করা হবে।'

বিটিআই সরবরাহে ডিএনসিসির উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে সেরা দরদাতা নির্বাচিত হয় মার্শাল অ্যাগ্রো। শর্ত ছিল, অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউভুক্ত দেশ, সিঙ্গাপুর, ভারত বা মালয়েশিয়া থেকে বিটিআই আমদানি করতে হবে।

মার্শাল অ্যাগ্রো সিঙ্গাপুর থেকে জৈব কীটনাশক ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস বা বিটিআই আমদানির দাবি করলেও, আমদানি শুল্ক নথি থেকে জানা যায় যে সেগুলো চীন থেকে আনা হয়েছিল।

বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল ডিএনসিসি।

কিন্তু মার্শাল অ্যাগ্রোর ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি বিটিআই সরবরাহের ক্রয় আদেশও বাতিল করেছে ডিএনসিসি।

বিটিআই আমদানি জালিয়াতির এ ঘটনা তদন্তে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়, গত ১৯ মে মার্শাল অ্যাগ্রোকে বিটিআই আমদানির কার্যাদেশ দেওয়া হয় এবং ২১ মে এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। পরে ১ আগস্ট মার্শাল অ্যাগ্রো ডিএনসিসিকে বিটিআই কীটনাশক হস্তান্তর করে। এসব কীটনাশকের মোড়কের তথ্য অনুযায়ী সেগুলো সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল থেকে আনা হয়েছে।

পরে বেস্ট কেমিক্যাল জানায় যে তারা মার্শাল অ্যাগ্রো নামে কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিটিআই কীটনাশক সরবরাহ করেনি।

এজাহারে আরও বনলা হয়, আসারা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণা করে কীটনাশক সরবরাহের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের জন্য এ কাজ করেছে।

Comments