গাজীপুর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভাঙচুর করা যুবলীগ নেতার গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা এলাকায় এক যুবলীগ নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়লসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিজুর রহমানের মা রেখা রহমান বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় এই মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাখাওয়াৎ হোসেন ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

আসামিরা হলেন, নাসির মোড়ল, শিহাব, হৃদয় শেখ, নয়ন, ইব্রাহীম খলিল, আনোয়ার হোসেন, রোমান, শাকিল, সুজন, তাজহারুল ইসলাম আজহার।

অভিযোগে বলা হয়, গত বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান কাজ শেষে তার বাসায় ফিরছিলেন। গাড়িতে করে বাসার সামনে পৌঁছানোর পর একদল যুবক তার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। হামলাকারীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড ছিল। তারা আজিজুরের গাড়িতেও এলোপাথাড়ি কোপ দেন।

যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল ও তার লোকজন আমার বাড়ির পাশে মাদক বিক্রি করেন। এলাকার লোকজন বাধা দেওয়ায় তারা ১০-১৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে গাড়ি ভাঙচুর করেন।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা আমার গাড়িতে গুলি করেছেন। আমার সহকর্মীর গাড়িতে গুলি করেছেন। আমাদের গাড়ি কোপানো হয়েছে।

এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আমি গুলাগুলির ঘটনা শুনেছি। আজিজুর রহমান যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তার কী হয়েছে আমি জানি না। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্ত করব।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল বলেন, যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। তিনি আমার টাকা দিচ্ছেন না। এটা নিয়েও তার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

US opens door to tariffs on pharma, semiconductors

The trade war is raising fears of an economic downturn as the dollar tumbles and investors dump US government bonds, normally considered a safe haven investment.

32m ago