গাজীপুরে মহাসড়কে যানবাহনে ধীরগতি

ছবি: স্টার

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহমুখী লাইনে সকাল থেকে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাড়ির ধীরগতি দেখা গেছে। 

পুলিশ জানায়, মূলত গাজীপুরের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঈদে বাড়ি ফিরতে রওনা হলে সড়কে এই অবস্থা তৈরি হয়।

এসময় শত শত যাত্রীকে হাতে, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, যানবাহনের সংকটের কারণে ভাড়া দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে।

টিএনজেড পোশাক কারখানায় শ্রমিক সাইদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আমি রাজশাহী যাব। পরিবারের লোকজন নিয়ে সকাল ৬টায় চৌরাস্তায় এসেছি। বাস কাউন্টারে বসে আছি। বাসের ভাড়া ছিল ১ হাজার ১৫০টাকা। আজকে ভাড়া চাইছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। এখন সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে চন্দ্রা যাব। সেখান থেকে রাজশাহী যাব।'

আরেক যাত্রী শরীফ হোসেন (৪৫) বলেন, আমি ময়মনসিংহ যাব। এক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করছি বাসে উঠতে, কোনোভাবেই সিট পাচ্ছি না। আমার সঙ্গে স্ত্রী ও ছোট শিশু আছে, তাই বাধ্য হয়ে সিএনজিতে উঠেছি। জনপ্রতি ৫০০ টাকা নিচ্ছে, পাঁচজন হলে যাবে। কিন্তু কেউ দ্বিগুণ ভাড়ায় যেতে চাইছে না।'

উজ্জ্বল মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, সকালে উত্তরা থেকে বাস না পেয়ে একটা পিকআপে উঠছি। এখনো চৌরাস্তা পার হতে পারিনি। এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকব, বুঝতে পারছি না।

মহাসড়কের ফ্লাইওভারের নিচে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য জানান, চান্দনা চৌরাস্তায় অটোরিকশা ও রাস্তায় দোকানের কারণেও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

গাজীপুরে চান্দনা চৌরাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানবাহন খুব ধীর গতিতে চলছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে থেমে না থাকে।

শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুরের ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত পোশাক কারখানার মধ্যে আজ সব কারখানা ছুটি হয়ে যাচ্ছে। গত দুই দিনে কিছু কারখানা ছুটি হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt launches probe into last 3 national polls

The government has formed a committee to investigate allegations of corruption, irregularities, and criminal activities in the three national elections held in 2014, 2018, and 2024.

5h ago