থানা-বাসার ২ এসি খুলে নিয়ে গেলেন ওসি

বাহুবল থানা। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অফিস কক্ষ ও বাসভবনে দুটি এসি স্থাপনের জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দের টাকা এলে ২টি এসি কিনে ওসির অফিস ও বাসায় লাগানো হয়।

কিন্তু গত ৭ আগস্ট ওসি রকিবুল ইসলাম খানকে বাহুবল থানা থেকে প্রথমে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে এবং ১৪ আগস্ট মাধবপুর থানায় বদলি করা হয়। 

বাহুবল ছাড়ার সময় তিনি ওই এসি ২টি খুলে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

বাহুবল মডেল থানায় গত ১২ আগস্ট যোগদান করেন নতুন ওসি মশিউর রহমান।

যোগাযোগ করা হলে বৃহস্পতিবার তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ১২ আগস্ট থানায় যোগদান করেছি। বাসায় ও অফিসে কোনো এসি পাইনি।'

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) আওতায় হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ওই ২টি এসির বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দেন।  

বরাদ্দের নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারিতে টিআর কর্মসূচির আওতায় বাহুবল উপজেলার জন্য মোট ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন এমপি। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বাহুবল থানায় এসি স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওসি রকিবুল অনেকবার অনুরোধ করেছিল এসি চেয়ে। তাই টিআর প্রকল্পের আওতায় আমি এসি কেনার জন্য বরাদ্দের সুপারিশ করি।'

এর আগে গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শাহনেওয়াজ এসি খুলে নেওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ওসি রকিবুলের নিন্দা করেন।

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার ওসি রকিবুল ইসলাম খানকে টেলিফোন করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অফিস বা বাসভবনে কোনো এসি নেই। এসি আমার ব্যক্তিগত।'

এমপির বরাদ্দকৃত এসি কোথায় গেল, জানতে চাইলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর সার্কেলের এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, 'এসি খুলে নেওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। আমি কাল ওসিকে ফোন করব। কিন্তু এটি আমার এলাকায় নয়, বাহুবল সার্কেলের অধীনে।'

এ বিষয়ে জানতে বাহুবল সার্কেলের এএসপি আবুল খায়েরকে ফোন করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই দুই এসি ওসির ব্যক্তিগত সম্পদ।'

এর আগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামকে বদলি করা হলে তিনি থানার এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা নিয়ে যান।

Comments

The Daily Star  | English
election before ramadan 2026 in Bangladesh

Election possible a week before Ramadan next year: Yunus tells Tarique

He said it will be possible if preparations completed, sufficient progress made in reforms and judicial matters

5h ago