আশা করি বাংলাদেশ সরকার বিদেশি মিশন, কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবে: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

‘যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে আমরা বিশ্বাস করি, সেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে সেক্রেটারির নির্দেশে বিধিনিষেধ আরোপের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ কথা জানান।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিজেরসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার এই উদ্বেগ বেশ যৌক্তিক। কারণ, বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কি এই উদ্বেগের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন?

জবাবে মিলার বলেন, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বা সেখানকার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে আমি আলোচনা করতে চাচ্ছি না। আমি বলব যে, অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে এবং সেখানকার কর্মীদের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এবং আমরা আশা করি (বাংলাদেশ) সরকার আমাদেরসহ তাদের দেশে থাকা সব বিদেশি মিশন ও সেখানকার কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে, যেখানে সরকারপন্থি গণমাধ্যমও থাকবে? সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমি কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ বা পূর্বে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বলছি না। যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে আমরা বিশ্বাস করি, সেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে সেক্রেটারির নির্দেশে বিধিনিষেধ আরোপের ব্যবস্থা নিয়েছি।

'২৪ মে আমরা যখন এই নীতি ঘোষণা করেছিলাম তখন স্পষ্ট করেছিলাম, নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, বরং যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হবে—যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত। তাই আমরা অন্য ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্পটি বজায় রাখতে চাই...,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago