বন্ধ করুন এই যুদ্ধ, বন্ধ করুন এই অস্ত্রের খেলা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন উপলক্ষে দেশের নারী উদ্যোক্তা ও আওয়ামী লীগের মহিলা অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশে বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি

যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা।

তিনি বলেন, 'আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমি একজন শুধু নারী রাজনীতিক বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় একজন মা হিসেবে বিশ্ব নেতাদের কাছে অনুরোধ করব আপনারা এই যুদ্ধ বন্ধ করুন। বন্ধ করুন এই অস্ত্রের খেলা। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধের দামামা আমরা দেখতে পাই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ তারমধ্যে আবার ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা।

শেখ হাসিনা আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে নারী উদ্যোক্তা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহিলা অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যুদ্ধ হলে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় আমাদের নারী এবং শিশুরা। তারাই বেশি কষ্ট ভোগ করে।

আমাদের সবরকম অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, '৭১ সালে পাকিস্তানি আর্মি আমার বাবাকে বন্দি করে নিয়ে যায়। তারপর মাকে বন্দি করে। তিনি ছোট বোন রেহানা ও ছোট ভাইসহ বন্দিখানায় ছিলেন। এমনকি তিনি সে সময় অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন।

তিনি বলেন, 'আমাদের কোনো ফার্নিচার ছিল না, খাবার কী হবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। কাজেই যুদ্ধের সময় যে কী ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে।'

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সচিব নাজমা মোবারেক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

জয়িতা ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড এবং নবনির্মিত জয়িতা টাওয়ারের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।

এর আগে আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নবনির্মিত জয়িতা ১২তলা আইকনিক টাওয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশব্যাপী নারীবান্ধব পৃথক বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষে জয়িতার কার্যক্রম চালু করা হয়।

১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এক বিঘা জমির ওপর নির্মিত বহুতল জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টার, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পার্লার, মহিলাদের জন্য জিমনেসিয়াম, মহিলা ও শিশুদের জন্য সুইমিং পুল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড-কোর্ট এবং ক্যাফে রয়েছে। এছাড়া ই-জয়িতা অনলাইন মার্কেটপ্লেস চালু করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ (পুরাতন) সড়কে এক বিঘা জমিতে ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ তলা জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এর আগে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জয়িতা ফাউন্ডেশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এরই মধ্যে সরকার নাম মাত্র মূল্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে এক বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

AL attack on NCP rally venue: Four killed as violence grips Gopalganj

At least four people were killed and dozens injured in daylong running battles between law enforcers and Awami League followers in Gopalganj yesterday.

6h ago