সিলেটে অবরোধ-হরতালে দুর্ভোগে মানুষ

সহিংসতার আশঙ্কায় সিলেট বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস ছাড়েনি এবং সকাল থেকে সিলেট নগরীর প্রধান এলাকার বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
সিলেটে বিএনপির অবরোধের দ্বিতীয় দিনে দূরপাল্লার বাস ও আন্তঃজেলা বাস ছেড়ে যায়নি। নগরীতে যানবাহন চলাচল করলেও তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ছবি: স্টার

সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী অবরোধের পাশাপাশি যুবদলের ডাকা হরতালে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের।

সহিংসতার আশঙ্কায় সিলেট বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস ছাড়েনি এবং সকাল থেকে সিলেট নগরীর প্রধান এলাকার বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এছাড়াও নগরীতে যানবাহন চলাচল করলেও তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম এবং রাস্তায় লোকজনও কম দেখা গেছে।

তবে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক আছে এবং অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে সকালের ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার আবুল হোসেন সকালে সিলেট আদালতে মামলা সংক্রান্ত একটি কাজে আসেন কিন্তু কাজ শেষে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কায় পড়েন।

'রাস্তায় কোনো বাধা না থাকায় আমি খুব ভোরে আসতে পেরেছি। কিন্তু এখন সহিংসতার আশঙ্কায় বাড়ি ফেরার জন্য অটোরিকশা ভাড়া করতে পারছি না। গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে,' বলেন তিনি।

নগরীর কাঁচাবাজার খোলা এবং শাক-সবজি ও মাছ বিক্রি হতে দেখা গেছে, তবে পরিমানে কম এবং দাম কিছুটা বেশি।

শাহীন আহমেদ নামে নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার এক সবজি বিক্রেতা বলেন, 'আমরা বেশিরভাগ সবজিই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বা আগে কেনা তাই দাম স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি।'

এদিকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেও সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং ও মিছিল করতে দেখা যায়।

সকাল ১১টার দিকে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের একদল নেতাকর্মীর সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে রসে

সকাল ১১টায় নগরীর প্রবেশপথ হুমায়ুন রশীদ চত্বরে শান্তি সমাবেশ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।

গতকাল সকাল থেকে দেশব্যাপী অবরোধ পালন করছে বিএনপি ও জামায়াত।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় গতকাল লালাবাজার এলাকায় পিকেটিং চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।

এর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় হরতাল পালন করছে যুবদল।

Comments