গাবতলীতে সকাল থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস

তবে আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় অপেক্ষমান যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ছবি: স্টার

বিএনপির অবরোধের দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি।

তবে আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় অপেক্ষমান যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে।

দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে দেখা যায় বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটের শতাধিক যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যাবেন এমন সাত জনের দলকে অপেক্ষা করতে দেখা যায় বাসের জন্য। তারা জানান, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তারা গাবতলীতে বাসের জন্য বসে আছেন।

তাদের মধ্যে একজন আরাফাত অপু (৪৫)। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সাত জনের মধ্যে দুই জন চিকিৎসার জন্য ঢাকার বারডেম হাসপাতালে এসেছিলেন। বাকিরা পরিবারের সদস্য। আজকে সবার ট্রেনে করে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সকালে তারা কমলাপুরে গিয়ে ট্রেন ধরতে পারেননি।

গাবতলী বাস টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে তোলা। ছবি: স্টার

'সবাই বলল গাবতলীতে গেলে বাস ধরে বাড়ি ফিরতে পারব, তাই সাড়ে ৮টা থেকে বসে আছি এখানে এসে। কিন্তু কাউন্টার থেকে বলছে বিকেলের আগে কোনো বাস নেই,' বলছিলেন আরাফাত।

কথা হয় গাবতলীর বিভিন্ন কাউন্টারে থাকা পরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে। শ্যামলী পরিবহনের টিকিট মাস্টার স্বপন চন্দ্র দাশ ডেইলি স্টারকে বলেন, আমাদের আজকের প্রথম গাড়ি ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। যাবে নওগাঁতে। এখনও পর্যাপ্ত যাত্রী আসে নাই। তাই দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়তে পারছি না।

'গাড়ি ছাড়ার প্রেশার আছে। তবে একবারেই যাত্রী না হলে কীভাবে বাস ছাড়ি,' বলেন তিনি।

গাবতলী বাস কাউন্টারে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার তোলা। ছবি: স্টার

হানিফ পরিবহন কাউন্টারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহন শ্রমিক জানান, 'সন্ধ্যার পর গাড়ি ছাড়ব। এখন পর্যন্ত কোনো রুটেই ৫-৭ জনের বেশি যাত্রী নাই। তাই যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি।'

ইসলাম পরিবহনের বাসচালক হাফিজুর রহমান বলেন, যাত্রী না থাকলে গাড়ি ছাড়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথম বাস ছাড়া হবে।

এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির অবরোধ চলছে। অবরোধের দিনগুলোতে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রী সংকটে দূরপাল্লার বাস দিনের বেলায় ছাড়ছে না বলে জানিয়েছে কাউন্টারের পরিবহণ শ্রমিকেরা।

Comments