অবসরের ৩ বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে রায় আগামীকাল

সুপ্রিম কোর্ট

সরকারি কর্মকর্তারা অবসরে যাওয়ার ৩ বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে আগামীকাল সোমবার রায় দেবেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালত আজ এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক রিট আবেদনের ওপর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের ৩ বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধের একটি আইনকে চ্যালেঞ্জ করে এসব রিট আবেদন করা হয়েছিল।

এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ রিট পিটিশন ও রুলের শুনানি শেষ করেন এবং 'যেকোনো সময় রায় দেওয়া হতে পারে' বলে উল্লেখ করেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(১) (এফ) ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা অবসর নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।

এই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মো. শামীম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান এবং রতন চন্দ্র পণ্ডিতের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময় পৃথক রুল জারি করেছিলেন।

রুলে এই ধারাকে কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে বলা হয়, ভোটে অংশ নেওয়ার অধিকার সংবিধানের একটি মৌলিক বিষয়। সরকারি কর্মচারীদের অবসর বা পদত্যাগের পর সংসদ নির্বাচনে ভোটে দাঁড়াতে নিষেধ করা সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের মূলনীতি ও সমঅধিকার উভয়ই লঙ্ঘন করে।

আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমির, প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ডিএজি অমিত দাস গুপ্ত শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

6h ago