বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এক ‘চিরাচরিত রুশ অপপ্রচার’

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে এক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন। ছবি: রয়টার্স
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে এক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন। ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি রাশিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করছে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এই বক্তব্যকে 'রাশিয়ার চিরাচরিত অপপ্রচার' বলে অভিহিত করেছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে এক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে বলেন, 'দেখুন, আমি যখন নৌবাহিনীতে ছিলাম, তখন আমরা এ ধরনের অভিযোগগুলোর বর্ণনা দিতে একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করতাম, যা আমি আপনাদের বলতে চাচ্ছি না। মোটা দাগে বলতে গেলে, এটা রুশদের চিরাচরিত অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।'

'আমি আপনাদের বলছি, এটা পুরোপুরি মিথ্যা এবং রুশরাও জানে যে এটা মিথ্যা', যোগ করেন তিনি। 

কিরবি জানান, বাংলাদেশি জনগণ যা চায়, তারাও সেটাই চান, আর তা হল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

'এবং ঠিক সে উদ্দেশ্যেই রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) এবং তার দল কাজ করে গেছেন এবং করতে থাকবেন। তারা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সব অংশ, অর্থাৎ নাগরিক সমাজ, বিরোধী দল, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে সমন্বিত হয়ে কাজ করবেন, যাতে দেশটির জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানানো হয়', যোগ করেন তিনি।

গত ২২ নভেম্বর মস্কোতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা উল্লেখ করেন, রাশিয়া বারবার বলেছে যে বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে 'স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি' নিশ্চিতের তকমা ঝুলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা দেশটির আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

তিনি আরও জানান, অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বাংলাদেশের বিরোধী দলের এক শীর্ষ নেতার বৈঠক থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

'জানা গেছে, তারা এই বৈঠকের সময়য় সারা দেশে সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষত, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বৈঠকে অংশ নেওয়া বিরোধী দলের নেতাকে প্রতিশ্রুতি দেন, এই "শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে" অংশগ্রহণকারীদের কর্তৃপক্ষ দমন-পীড়ন করেছে, এমন তথ্য প্রকাশ করে এই উদ্যোগে সহায়তা দেবেন', যোগ করেন জাখারোভা। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Kuet returns to normalcy after 65 days of unrest

Around 10:00am, only a few police officers were seen patrolling near the main gate

1h ago