খাগড়াছড়িতে অবরোধের মধ্যে পর্যটকবাহী থ্রি-হুইলারে গুলি, ভাঙচুর
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ডাকা অবরোধের মধ্যে খাগড়াছড়িতে একটি পর্যটকবাহী থ্রি-হুইলার অটোরিকশা লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার জেলার দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসময় একসঙ্গে পার হতে থাকা আরও দুটি পর্যটকবাহী যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
পুলিশ বলছে, এখানে ভাঙচুর হওয়া যানবাহনগুলোর মধ্যে আছে একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, 'অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা পর্যটকবাহী একটি মাহেন্দ্রকে (থ্রি-হুইলার অটোরিকশা) লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।'
নুরুল হক জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যটকসহ যানবাহনগুলো উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় পর্যটকদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে পানছড়ি উপজেলার দুর্গম লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফের চার নেতা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। তারা হলেন ইউপিডিএফের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা (২৯), ইউপিডিএফ–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা (২৯) ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯)।
এ ঘটনায় নিহত বিপুল চাকমার চাচা নিরুপম চাকমা বাদী হয়ে গত বুধবার পানছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এর আগে গতকাল রোববার পানছড়ি উপজেলায় দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা।
আর আজ সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সমর্থনে জেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় ইউপিডিএফ সমর্থকদের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করতে দেখা যায়।
অবরোধের কারণে আন্তঃজেলাসহ ও জেলার অভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। দুরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি।
এদিন খাগড়াছড়ি শহরের ভেতরে স্বল্প সংখ্যক ইজিবাইক ও মটরসাইকেল চলাচল করলেও শহরতলীর দিকে কড়া অবরোধ পালিত হয়েছে। জেলার মানিকছড়ি ও দীঘিনালাসহ কয়েকটি এলাকা থেকে ভাঙচুরের খবরও আসে।
Comments