চট্টগ্রাম ওয়াসায় দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেন এমডি

চট্টগ্রাম ওয়াসায় দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহ।
চট্টগ্রাম ওয়াসায় দুর্নীতি
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে গণশুনানিতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহ। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম ওয়াসায় দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহ।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে গণশুনানিতে তিনি বলেন, 'চট্টগ্রাম ওয়াসায় যে দুর্নীতি নেই, তা আমি দাবি করছি না। তবে দুর্নীতি আগের চেয়ে কমেছে।'

দুর্নীতির কারণে কেন চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হয়, জানতে চাইলে এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, 'আমি গ্রাহকদের সরাসরি আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুরোধ করছি, কারণ তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা।'

খুলশী এলাকার নোমান আলম খান নামে এক গ্রাহকের অভিযোগ, চট্টগ্রাম ওয়াসা তাকে পানি না দিয়ে এক লাখ টাকার বেশি বিল করেছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি বলেন, 'আমরা প্রতিটি সংযোগের বিপরীতে সার্ভিস চার্জ হিসেবে বিল করতে বাধ্য হই। বিল মওকুফের ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এ ধরনের গ্রাহক পানি না পেলে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারেন।'

হালিশহর গ্রিন ভিউ আবাসিক এলাকা সমবায় সমিতির সেক্রেটারি শিমুল বড়ুয়ার অভিযোগ, অনেক চেষ্টার পরও তারা চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে পানি পাননি।

এ অভিযোগ বিষয়ে এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, 'আমরা এখনো চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে পারিনি। তবে চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমরা আরও একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।'

লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি বলেন, 'মাত্র ১৪ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ক্ষমতা ১২ কোটি লিটার থেকে বেড়ে ৫৬ কোটি লিটার হয়েছে। এ ছাড়া, আমরা গভীর টিউবওয়েলগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিয়েছি, যাতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও ধরে রাখা যায়।'

'শুষ্ক মৌসুমে লবণাক্ততা বেড়ে যায় এবং পানির ঘাটতি তৈরি হয়। কারণ আমরা গ্রাহকদের সরবরাহের জন্য নদী থেকে পানি সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম। তবে আমরা একটি ডিস্যালাইনেশন রিজার্ভার স্থাপনের চেষ্টা করছি। এ ছাড়া, কাপ্তাই লেক ড্রেজিং করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছি', বলেন তিনি।

Comments