পদ্মা সেতু প্রকল্পের নামে আনা পণ্য বিক্রি করছে সিনোহাইড্রো

২০১৫ সাল থেকে মোট এক হাজার ৮১০টি চালানে এসব পণ্য দেশে এসেছে। তার মধ্যে এক হাজার ৪৭১টি চালান এসেছে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ব্যবহারের জন্য এবং বাকি ৩৩৯টি চালান এসেছে পুনঃরপ্তানির শর্তে।
পদ্মা সেতুর জন্য আনা এসব ক্রেনের কয়েকটি বিক্রি করে দেয় সিনোহাইড্রো। ছবি: স্টার

চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড শুল্কমুক্ত সুবিধায় গত ৯ বছরে প্রায় ১০৩ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও আনুষঙ্গিক পণ্য আমদানি করেছে। শর্ত ছিল, এসব পণ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের কারো কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না।

পদ্মাসেতু প্রকল্পের 'রিভার ট্রেনিং ওয়ার্কস'র আওতায় ২০১৫ সাল থেকে মোট এক হাজার ৮১০টি চালানে এসব পণ্য দেশে এসেছে। তার মধ্যে এক হাজার ৪৭১টি চালান এসেছে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ব্যবহারের জন্য এবং বাকি ৩৩৯টি চালান এসেছে পুনঃরপ্তানির শর্তে।

দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিনোহাইড্রো গত নয় বছরে একটি পণ্যও ফেরত নেয়নি। প্রতিষ্ঠানটি আমদানি বিধি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে এসব নির্মাণ সামগ্রী ও ভারী যন্ত্রপাতি বিক্রি করেছে এবং এখনো বিক্রি করছে।

স্থানীয় বাজারে বিক্রির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কর ও আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করলেও সরকারি খাতায় এর কোনো তথ্য নেই।

আমদানি করা এসব পণ্যের শুল্ক হার ছিল আমদানি মূল্যের ২৫ থেকে ৬৪ শতাংশ।

কাস্টমস অ্যাক্ট অনুসারে, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি নূন্যতম ২০০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।

তবে এনবিআর বা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে একাধিক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

সিনোহাইড্রোর 'সোনার খনি'

নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে—সিনোহাইড্রোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পুনঃরপ্তানিসহ ১২ শর্তে ৪৮০ ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয় এনবিআর।

আমদানি করা এসব পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—ডাম্প ট্রাক, ফর্কলিফট, ডিজেল ইঞ্জিন, কংক্রিট মিক্সিং ট্রাক, কেবল, সাবমারসিবল পাম্প, জেনারেটর, ট্রাক ক্রেন, লোডার, বুলডোজার, রোড রোলার, এক্সকাভেটর, মিক্সিং প্ল্যান্ট, সিলিন্ডার, স্টিল পাইপ, ড্রেগার ও রাবার পাইপ।

কাগজপত্র অনুসারে, বেশিরভাগ পণ্য চীন থেকে এসেছে, যদিও কিছু পাকিস্তান, হংকং এবং নেদারল্যান্ডস থেকেও এসেছে।

কাস্টমসের নথি থেকে জানা গেছে—প্রায় ৪১ হাজার ৭৭৬ টনের এসব পণ্যের আমদানি মূল্য ১০ কোটি ৩০ লাখ ৪৭ হাজার ৬২০ ডলার।

তবে প্রতিষ্ঠানটির নামে এনবিআর সার্ভারে পুনঃরপ্তানির তথ্য পাওয়া যায়নি। ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে এনবিআরের আমদানি-রপ্তানির তথ্য যাচাই করেও রপ্তানির তথ্য পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে পুনঃরপ্তানি না হওয়ার বিষয়টি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে—প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই এসব পণ্যের বেশিরভাগই বিক্রি করে দিয়েছে এবং আরও পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে৷

গত ২৪ নভেম্বর ডেইলি স্টার জাজিরার পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় সিনোহাইড্রো করপোরেশনের ইয়ার্ড পরিদর্শন করে এবং ইয়ার্ডটিতে সম্ভাব্য কয়েকজন ক্রেতা দেখতে পায়।

সেসময় গত পাঁচ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে চালক হিসেবে কর্মরত মো. ফয়সালকে তাদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

এই প্রতিবেদক একজন গ্রাহক হিসেবে তার কাছে গেলে ফয়সাল জানান, তারা প্রতিটি ডাম্প ট্রাক ১০ লাখ টাকা, মিক্সিং ট্রাক ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা, ফ্লোটার এক্সকাভেটর ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা, ক্রেন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় ও ফর্কলিফট ছয় থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ছাড়াও, স্টিলের অন্যান্য কাঠামো ও পুরোনো যন্ত্রপাতি বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন ৭০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকায়।

ফয়সাল আরও জানান, ক্রেতারা প্রাথমিকভাবে কেনার নিশ্চয়তা দিলে তিনি তাদেরকে ইয়ার্ড ইনচার্জ 'মিস্টার গাও'র সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তখনই নেওয়া হয়।

বিক্রিতে প্রমাণ রাখা হয় না

ইয়ার্ড পরিদর্শন করে ডেইলি স্টার কমপক্ষে ৩৫টি ট্রাক্টর (মডেল-আইশার ৫৫৬০), ৩৪টি ডাম্প ট্রাক (মডেল-২৫টি), ৭৮টি ফর্কলিফট (মডেল-৫টি, ৩টি ও ২টি), চারটি কংক্রিট মিক্সিং ট্রাক (মডেল-৮ এম৩), ১২টি সাবমার্সিবল পাম্প (মডেল-১৫০এলকিউ-৪৮০-৬), ১২টি জেনারেটর, ৪৩টি এক্সকাভেটর (ভলভো ও হিতাচি ব্যান্ড) এবং স্টিল স্ট্রাকচারের স্তূপ ও রাবার পাইপ বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।

সিমেন্ট ব্লক তৈরির জন্য নতুন প্ল্যান্টসহ তিনটি মিক্সিং প্ল্যান্টও বিক্রির জন্য দেখানো হয়েছিল।

গত ২৪ নভেম্বর ডেইলি স্টার ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ভোলা থেকে ইয়ার্ডে যানবাহন এবং সরঞ্জাম কিনতে আসা সম্ভাব্য সাত গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে।

তাদের মধ্যে ছয় জন জানান, এর আগেও তারা সিনোহাইড্রো ইয়ার্ড থেকে নির্মাণকাজে ব্যবহার করা যানবাহন ও যন্ত্রপাতি কিনেছিলেন।

তাদের একজন ভোলাভিত্তিক নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। গোপনে রেকর্ড করা ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমি ৬৫ লাখ টাকায় তিনটি কংক্রিট মিক্সিং ট্রাক ও এক কোটি টাকায় ১০টি ডাম্প ট্রাক কিনেছি।'

যানবাহনগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় সেগুলোর নষ্ট ব্যাটারি বদলিয়ে তাকে নতুন ব্যাটারি বসানোর কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, 'এগুলো নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০-৩০ শতাংশ লাভে বিক্রি করি।'

'এসব যন্ত্রপাতির কাগজপত্র নেই' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কেনার পর বিআরটিএর দালালদের সহায়তায় কাগজ তৈরি করতে আরও কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়।'

তিনি চার মাস আগে ইয়ার্ড থেকে ১২টি ট্রাক ও এক্সকাভেটর কিনেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে বিআরটিএ থেকে কাগজপত্র শেষ করেছি।'

বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট উইং) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিভিন্ন মডেলের ডাম্প ট্রাক, ট্রাক্টর, রেডি মিক্সিং ট্রাকের নিবন্ধনের তথ্য পেয়েছি এই অজুহাতে যে কাগজপত্র আমদানির পরে হারিয়ে গেছে। আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ সম্প্রতি এই ধরনের নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে এবং আমরা এর কারণ জানি না।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এ বছরই প্রায় ৩৫০টি এ ধরনের যানবাহন নিবন্ধিত হয়েছে। তদন্ত চলমান থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।'

গত ২৪ নভেম্বর সিনোহাইড্রো ইয়ার্ডে ঢাকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'সব লেনদেন নগদে করা হয়। কোনো পক্ষই প্রমাণ রাখে না।'

তিনি আরও বলেন, 'সিনোহাইড্রোর কর্মকর্তারা কাগজ দিতে রাজি না হওয়ায় সেখান থেকে পণ্য কিনিনি।'

ডেইলি স্টার অপর এক বড় ক্রেতাকে খুঁজে বের করেছে। তিনি ঢাকার পোস্তাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী নান্নু মিয়া।

গত নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ইতোপূর্বে ৩৮টি ডাম্প ট্রাক, ৩৬টি ট্রাক ও তিনটি রেডি-মিক্সিং ট্রাক কিনেছি। বাজারদরের তুলনায় দাম অনেক কম হওয়ায় সেগুলো দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে। আরও তিনটি কংক্রিট রেডি মিক্সার কেনার জন্য আলোচনা চলছে।'

সিনোহাইড্রোর প্রকল্প পরিচালক কিউ ইয়ানকে গত ২১ ও ২৪ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ইমেইলে দুটি মেইল পাঠানো হলেও জবাব পাওয়া যায়নি। ঢাকা অফিসে প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক কিউ চেনিয়াংও ইমেলে পাঠানো প্রশ্নের জবাব দেননি।

জাজিরার সিনোহাইড্রো ইয়ার্ডের ইনচার্জ মি. গাও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেছেন, 'আমরা অস্থায়ী আমদানিকে স্থায়ী আমদানিতে স্থানান্তর করার জন্য প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়া শুরু করছি। যা পুনঃরপ্তানির শর্তে আমদানি করা হয়েছিল।'

'কেন প্রতিষ্ঠানটি আগে থেকেই পণ্য বিক্রি করছে, কেন শর্ত থাকলেও এনবিআরের অনুমতি নেয়নি?'—এসব প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি। এর মধ্যে কত মালপত্র স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে তাও তিনি বলেননি।

এনবিআরের শর্ত

২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সিনোহাইড্রো শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে কাস্টমস প্রসিকিউর কোড-১৭০ (মূলধনী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম আমদানিতে ব্যবহৃত) এবং আইএম-৫ (পুনঃ রপ্তানির জন্য ব্যবহৃত) এর অধীনে আমদানি প্রক্রিয়া শুরু করে।

কাস্টমস আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কাস্টমস অফিসের পূর্বানুমতি ছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি কার মূলধনী সরঞ্জাম বিক্রির সুযোগ নেই। এনবিআরের অনুমতির পর আমদানিকারককে নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধের পর তা বিক্রি বা হস্তান্তর করতে হবে।

এনবিআর সিনোহাইড্রোকে ১২টি শর্তে পণ্য আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে পণ্যের পুনঃরপ্তানির বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।

নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পুনঃরপ্তানির শর্ত খুবই কঠোর ও সুনির্দিষ্ট।

আমদানির ছয় মাসের মধ্যে পুনঃরপ্তানির কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রতি ছয় মাস পরপর লিখিত আবেদন করে তা বাড়ানো যেতে পারে।

সময় বাড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে এবং লিখিতভাবে এনবিআরের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু সিনোহাইড্রো কখনই সময় বাড়ানোর আবেদন করেনি বলে একাধিক সূত্র ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে।

অন্যান্য শর্তের মধ্যে আছে আমদানি কার পণ্য ও যন্ত্রপাতি শুধুমাত্র পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা যাবে এবং এনবিআরের অনুমতি ছাড়া স্থানীয়ভাবে বিক্রি বা স্থানান্তর করা যাবে না। এমনকি এসব পণ্য নষ্ট বা অকেজো হয়ে গেলেও শুল্ক অব্যাহতির সুযোগ নেই বলে শর্তে উল্লেখ করেছে এনবিআর।

নথিতে দেখা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের রিভার ট্রেনিং ওয়ার্কসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কু ইয়ান ও পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম শর্ত সাপেক্ষে আমদানির জন্য যৌথ অঙ্গীকারে সই করেছেন।

ডেইলি স্টারের কাছে থাকা এ যৌথ অঙ্গীকার অনুসারে, শর্তগুলো মেনে চলতে তারা ব্যর্থ ও প্রতিষ্ঠান শর্ত লঙ্ঘন করলে নির্ধারিত শুল্ক দিতে বাধ্য থাকবে।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তা করেনি। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে শুল্ক পরিশোধের তথ্য পাওয়া যায়নি।

রহস্যময় নীরবতা

'কাস্টমসের ভূমিকা রহস্যজনক' উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ধরনের অনিয়ম তখনই ঘটতে পারে যখন শুল্ক কর্মকর্তারা নীরব থাকেন।'

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের ঠিকাদাররা এ ধরনের শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা নিয়েছেন।'

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছয় মাস পর ডিমান্ড লেটার বা কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রে হয়তো তা করা হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হবে।'

এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক (শুল্ক নীতি) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুনঃরপ্তানি সুবিধার আওতায় আনা কোনো পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'শুল্ক দেওয়ার আগে এই ধরনের জিনিস বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে শুল্কের পরিমাণের ওপর জরিমানা আদায়ের বিধান আছে।' 

Comments