‘পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় সাক্ষরতার হার কমিয়ে দিয়েছিল খালেদা জিয়া’

আজ মঙ্গলবার ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় দেশে সাক্ষরতার হার কমিয়ে দিয়েছিলেন।

আজ মঙ্গলবার ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমাদের কথা হচ্ছে- আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা চলতে চাই। আমাদের সাক্ষরতার হার যা আমি ৬৫ দশমিক ৫ ভাগে রেখে গিয়েছিলাম ২০০১ সালে, খালেদা জিয়া এসে তা কমিয়ে দিয়েছিল।'

'অবশ্য কমিয়ে দেওয়ার কারণ আছে। কারণটা একটু বলতে চাই- একবার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। এই ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাস করেছিল মাত্র দুইটা সাবজেক্টে। একটা হলো উর্দু আর একটা হলো অঙ্ক। এই অঙ্ক আর উর্দু ছাড়া আর সব কিছুতেই ফেল', বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অঙ্ক ভালো করে শিখেছিল, কারণ ভালো করে টাকা গুণতে হয়তো। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতির মেলা টাকা বানাতে সহজ। আর উর্দু কেন, কারণ তার মনে সবসময় ওই পাকিস্তান, ওই পেয়ারে পাকিস্তান, হামারা পেয়ারে পাকিস্তান। এটাই তার মনে থাকে। সে ওই দুইটাই পাস করেছে। আর কিছুতে না।' 

'তো খালেদা জিয়ার কথা হচ্ছে, সে যখন পাশ করে নাই, তো আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাশ করবে কেন? আমি সাক্ষরতার হার বাড়ালাম ৬৫ দশমিক ৫ ভাগে, আর খালেদা জিয়া তা কমিয়ে আবার ৪৫ ভাগে নামিয়ে আনলো, ২০০৯ সালে এসে দেখি কমে গেছে', বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, 'এরপর আবার আমরা উদ্যোগ নেই। আজকে আমাদের দেশে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট।' 

তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। অনেককে একেবারে সেই, মানে বলতে গেলে- সেই নর্দমা থেকে টেনে তোলা হয়েছে। তাদের পয়সা বানানো, ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিয়েছি। মিডিয়া চালানোর সুযোগ দিয়েছি।' 

'এখন তারা টাকা ছড়ায়। তারা মনে করে টাকা দিয়েই সব কেনা যাবে। আমি এই টাকাওয়ালাদের টাকা ছড়ানো... খুব ভালো কথা টাকা তারা ছড়াক, যত টাকা বানিয়েছে তা তো যাবে, জনগণের হাতে যাবে। তবে একটা কথা স্মরণ করাতে চাই, ওই টাকা দিয়ে মানুষ কেনা যায় না', যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ratan Tata no more

The 87-year-old industrialist was admitted to Breach Candy Hospital for age-related ailments

52m ago