ঘুমধুমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সারা দিনে যা ঘটল

বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ওপারে মায়ানমারে সেদেশের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘর্ষ থেমে থেমে আজ সারা দিন অব্যাহত ছিল।

সংঘর্ষ চলাকালে দুই দফায় হেলিকপ্টার থেকে বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

এর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক নারীসহ দুজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা পুরুষও আছেন।

সীমান্ত সূত্রগুলো বলছে, গতকাল রোববার সংঘর্ষের পরে আজ সোমবারের সংঘর্ষের বিস্তৃতি দুই কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

রোববার বাংলাদেশের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে মিয়ানমারের সীমান্ত চৌকি ও ক্যাম্প যা রাইট ক্যাম্প নামে পরিচিত সেখানে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীরা তীব্র হামলা চালায়।

সূত্রগুলো বলছে, রাতের মধ্যেই তারা ওই সীমান্ত চৌকি ও রাইট ক্যাম্প দখল করে নেয়। সোমবার ভোর ৪টা নাগাদ বিদ্রোহীরা তীব্র হামলা শুরু করে। বিদ্রোহীরা বাংলাদেশের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার অগ্রসর হয়ে ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া বিজিপি চৌকিতে হামলা করে।

সকাল ৭টার পর ঢেকিবুনিয়া বিজিপি আউটপোস্ট থেকে প্রায় ২৪ জনের একটি দল বাংলাদেশ-মিয়ানমার ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ পার হয়ে আন্তর্জাতিক সড়ক ধরে পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের এই ক্যাম্পে অবস্থান করতে দেখা যায়।

সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গোলাগুলির তীব্রতা কিছুটা কমে আসে। সকাল ১১টার দিকে একটি হেলিকপ্টার গানশিপ বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে রাইট ক্যাম্পে কাছাকাছি এলাকায় বোমা ও গুলিবর্ষণ করে।

এরপর পরবর্তীতে বিক্ষিপ্তভাবে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গুলি চলতে থাকে। পরবর্তীতে দুপুর ২টার দিকে আবারো হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে তীব্র গুলি ও বোমা বর্ষণ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হেলিকপ্টার থেকে বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে জলপাই তলী এলাকায় একটি বাড়িতে মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুইজন নিহত হন।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সীমান্তে বিক্ষিপ্তভাবে মর্টার শেল বিস্ফোরণ এবং গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Stop destroying nature, plant trees instead of cutting: Yunus

Protecting the environment should be a citizen-led movement, he says

52m ago