শরীফকে কেন দুদকে পুনর্বহাল করা হবে না, হাইকোর্টের রুল
কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ না দিয়েই শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন সব সুবিধাসহ শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হবে না, দুদকের কাছে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।
গত বছরের ১৩ মার্চ শরীফ উদ্দিনের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক শরীফকে বরখাস্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধিতে বলা আছে, কমিশন কোনো কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিশ প্রদান করে অথবা ৯০ দিনের বেতন পরিশোধ করে চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে।
কিন্তু, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ১৩ মার্চ শরীফ উদ্দিন হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
আজ রিট আবেদনের শুনানির সময় শরীফের আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন হাইকোর্টকে বলেন, 'দুদক তার কর্মকর্তাকে ৯০ দিনের নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারে না। বিধি প্রয়োগ করে শরীফের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে দুদক।'
ব্যারিস্টার সালাহউদ্দিন আরও বলেন, 'আমার মক্কেল চাকরিতে থাকাকালে বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত করে অনেক প্রভাবশালীর দুর্নীতি, অর্থপাচার ও অপরাধ প্রকাশ করে দিয়েছেন এবং এসব আড়াল করতেই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।'
'শরীফ যাদের দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন, তাদের মুক্তি দিতেই শরীফ হয়রানির শিকার হয়েছেন,' যুক্তিতর্কে বলেন তিনি।
শরীফকে বরখাস্তের পর হাইকোর্ট দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) ধারা বাতিল ঘোষণা করলেও, গত বছরের ১৬ মার্চ তা খারিজ করে দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
Comments