র‌্যাব পরিচয়ে জমি দখল ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে

র‌্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের অধিনায়ক বলেন, ‘সিরাজুল ইসলাম র‌্যাবের কেউ নন। তিনি বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নে চাকরি করেন। যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ককে অবহিত করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিলকিছ বেগম। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'র‌্যাব সদস্য' পরিচয় দিয়ে প্রতিবেশীর জমি দখল করে নিতে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মৃত শাহআলমের স্ত্রী বিলকিছ বেগম। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিলকিছ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দাতিয়ারা মৌজার সাবেক ১৬ দাগ, হালে বিএস ১৯ দাগে ১০ শতক জায়গার মধ্যে পাঁচ শতক ভিটি বাড়ি ক্রয়সূত্রে মালিক ও ভোগদখল করে আসছেন তিনি। বাকি ৫ শতকের মালিক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি র‌্যাব-৯ এর সিলেট অফিসে চাকরি করেন বলে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিলকিছ বলেন, সম্প্রতি সিরাজুল ইসলাম তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর দুই দফায় ভেঙে জায়গা দখলের চেষ্টা করেছেন। এতে তার দুই লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, সিরাজুল ইসলাম তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকানোর ভয় দেখাচ্ছেন এবং তার জায়গা দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এতে তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সংবাদ সম্মেলনের কথা শুনে প্রেসক্লাবে এসেছিলেন সিরাজুল।

তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি কারো সীমানা প্রাচীর ভাঙেননি।

তিনি অভিযোগ করেন, 'বিলকিছ বেগমের লোকজনই আমার জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙেছেন। এখন উল্টো আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।'

র‌্যাব পরিচয় দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজুল জানান, তিনি আগে র‌্যাব-৯ এর সিলেট অফিসে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজারে বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নে কর্মরত আছেন।

সিরাজুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার হাতুরাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি জেলা শহরের দাতিয়ারা এলাকায় ক্রয়সূত্রে একটি ভিটিবাড়ির মালিক।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর জালিস মাহমুদ খাঁন বলেন, 'সিরাজুল ইসলাম র‌্যাবের কেউ নন। তিনি বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নে চাকরি করেন। যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ককে অবহিত করেছি।'

Comments