জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা পানি সংকটে

এমভি আব্দুল্লাহ। ফাইল ছবি সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক তীব্র পানি সংকটে রয়েছেন। কারণ, জাহাজের মজুদ কমতে থাকায় জলদস্যুরা তাদের খুবই সীমিত পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে দিচ্ছে।

গত ১২ মার্চ থেকে জাহাজে জিম্মি এই নাবিকরা সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘণ্টা জাহাজের পানির মজুদ থেকে পানি ব্যবহার করতে পারছে।

কয়েকজন নাবিকের পরিবার শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, এই অল্প সময়ের মধ্যেই নাবিকদের গোসল করতে হয় এবং খাওয়ার জন্য পানি জমা করে রাখতে হয়।

প্রায় এক সপ্তাহ পর গত শুক্রবার জলদস্যুরা বেশ কয়েকজন নাবিককে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমতি দেয়।

নাবিকদের পরিবার জানায়, বেশিরভাগ নাবিকের চর্মরোগ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, তারা ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে পারছেন না।

জাহাজের মালিক এসআর শিপিং অবশ্য পানি সংকটের বিষয়ে নাবিকদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় নাবিকরা জানান, জলদস্যুরা কয়েকটি দুম্বা নিয়ে এসেছে, তবে সেগুলোর মাংস বেশিরভাগই জলদস্যুরা খাবে।

এক নাবিকের মা জানান, তার ছেলে শুক্রবার সকালে তার সঙ্গে কয়েক মিনিট কথা বলেছে।

তিনি বলেন, 'নাবিকরা পান করা ও রান্নার জন্য সীমিত পরিমাণ পানি ব্যবহার করছে। কারা এখনো জাহাজে থাকা মজুত থেকেই খাবার পাচ্ছে।'

অপর এক নাবিকের স্ত্রীও একই কথা জানান। তিনি বলেন, 'জাহাজের খাবার ও পানির মজুত যাতে দীর্ঘ সময় চলে এ জন্য সবাইকে অল্প খাবার দিচ্ছে।'

একই কথা বলেন আরেকজন নাবিকের মা।

তিনি নাবিকদের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, কবে নাগাদ তাদের উদ্ধার করা যাবে জাহাজের মালিকানাধীন সংস্থা এখনো তাদের কিছুই জানায়নি।

হতাশ কণ্ঠে তিনি বলেন, 'তারা (মালিকপক্ষের কর্মকর্তারা) নাবিকদের মুক্তির জন্য সবকিছু করার আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না এর জন্য কতদিন লাগবে।'

এসআর শিপিংয়ের মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম বলেন, 'তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।'

তিনি আশা প্রকাশ করেন, জলদস্যুরা আগের মতোই খাবার ও পানির ব্যবস্থা করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Pakistan postpones foreign minister's visit to Bangladesh

The development comes amid escalation of tension between India and Pakistan following a terrorist attack

1h ago