বকশিগঞ্জে সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিককে মারধর

সাংবাদিক মতিন রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশিগঞ্জে পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত ও পরাজিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক মতিন রহমান দৈনিক ভোরের দর্পন পত্রিকার বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত শনিবার বকশিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন কামরুজ্জামান সুজন। ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। 

সোমবার বিকেলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

জানা গেছে, বকশিগঞ্জের বড়বাড়ি এলাকার আক্কাস মাস্টারের ছেলে তৌহিদের নেতৃত্বে বিজয়ী পক্ষের লোকজন পরাজিত প্রার্থীর লোকদের বাড়িতে হামলা করে। 

এ সময় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে যান।

আহত সাংবাদিক মতিন রহমান অভিযোগ করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযুক্ত তৌহিদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় উত্তেজিত হয়ে তৌহিদের নেতৃত্বে কাউন্সিলর সুজনের ২০-২৫ জন সমর্থক আমার ওপর হামলা চালায়, মারধর করে। এ সময় তারা আমার ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।'

খবর পেয়ে সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।

এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। 

জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাহাঙ্গীর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এর আগে বকশিগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম প্রাণ দিয়েছেন। অনেক সাংবাদিকই একাধিকবার হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে একের পর এক সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।'

জানতে চাইলে কাউন্সিলর কামরুজ্জামান সুজন সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা একটা বিষয় নিয়ে বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলাম। এ সময় সাংবাদিক মতিন সেখানে ভিডিও করছিলেন। তাকে মানা করা হলে, বিষয়টি নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।'

যোগাযোগ করা হলে বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একজন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। প্রকৃত ঘটনা এখনো জানি না।'

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

7h ago