বাংলাদেশ

ঢাকা দক্ষিণে মশা নিয়ন্ত্রণে আছে: মেয়র তাপস

‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি থানা, সেগুলো এডিস মশা বিস্তারের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে থাকে।’
ঢাকা দক্ষিণে মশা নিয়ন্ত্রণে আছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার রাজধানীর পান্থকুঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মশার উপদ্রপের অভিযোগ তোলায় সুনির্দিষ্ট করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোন ওয়ার্ডে মশা আছে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে জানতে চান তাপস।

জুরাইন ও যাত্রীবাড়ী এলাকায় এখনো মশার উপদ্রপ দেখা যাচ্ছে—ডিএসসিসি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'যাত্রীবাড়ী-জুরাইন এলাকায়ও এখন মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিউলেক্স মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

'আমি আগেও বলেছিলাম, ইনশাল্লাহ আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে রেখেই আমরা মৌসুম শেষ করতে পারব। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আনন্দিত। যদিও কয়েক দিন ছুটি ছিল, তারপরও আপনারা লক্ষ করবেন মশা কিন্তু সেই পরিমাণে বৃদ্ধি হয়নি। কারণ আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল, আমরা ছুটির মধ্যেও কাজ করেছি। যার কারণে আমরা মশক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি,' বলেন তাপস।

তিনি আরও বলেন, 'তারপরও যদি দুএক জায়গায় বেড়ে যায়, সেগুলোও নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেব। একজন কর্মচারী গাফিলতি করতেই পারে কিন্তু আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেই। যার ফলশ্রুতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশককর্মীরা অত্যন্ত ভালো কাজ করে চলেছেন।'

বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, 'একদিনে জলাবদ্ধতা নিরসন, অন্যদিকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম আমরা নিচ্ছি। আমরা মে মাস থেকে ঢাকার অংশীজনদের সঙ্গে আমরা মত বিনিময় শুরু করব।'

তিনি বলেন, 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি থানা, সেগুলো এডিস মশা বিস্তারের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে থাকে। প্রস্তুতি পর্ব থেকে আমরা তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে এগুলো আগে করতে চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার রাখতে চাই। যাতে মৌসুমে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ না করে বা সংকটে পরিণত না হয়।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'মশককর্মী বা মশক সংক্রান্ত কার্যক্রমে কোনো জনবল সংকট নেই। আমাদের নিয়জিত সকালে সাতজন, বিকেলে ছয়জন এবং একজন মশক সুপারভাইজার—১৪ জন শুক্রবার ছুটি বাদে প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। এখানে যদি কোনো গাফিলতি অবহেলা পাওয়া যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অব্যাহতভাবে গাফিলতি করলে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং কর্মচ্যুত করলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জনবল নিয়োজিত করে থাকি।'

তিনি বলেন, 'এই পান্থকুঞ্জ এলাকা দীর্ঘ দিন ধরে দখল অবস্থায় ছিল। আমরা এটা দখলমুক্ত করে কাজ শুরু করেছি। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ের আগেই আমরা এই কাজ সম্পন্ন করে ঢাকাবাসীর জন্য একটি নান্দনিক একটি উদ্যান উপহার দিতে পারব।'

Comments