জামালপুর

‘সাদা কাগজে’ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সই নিয়ে প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন প্রতিপক্ষের

জেলা নির্বাচন অফিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
দুপুরে অভিযোগ নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন (মাঝে)। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে 'সাদা কাগজে' এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সই নিয়ে তার হয়ে প্রার্থিতা বাতিলের আবেদনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন জানান, সমঝোতার কথা বলে কিছু লোক তার কাছ থেকে সই নেয় এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেয়। 

আজ রোববার দুপুরে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়ার পরপরই এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সামস উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়িতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী চারজন। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পোগলদিঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন সমঝোতার কথা বলে সাদা কাগজে আমার সই নেয় এবং সই করা কাগজে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন লিখে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন।'

'খবর পেয়ে আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সশরীরে উপস্থিত হই এবং পাল্টা আবেদন করি,' যোগ করেন তিনি।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুরের দিকে সামস উদ্দিন লিখিত অভিযোগটি জমা দেন। 

এর কিছুক্ষণ আগে তার সই করা প্রার্থিতা প্রত্যাহার সংক্রান্ত আবেদন জমা দেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সামসের প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় এমপির ছোট ভাই অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। উপজেলা কার্যালয়ে জমার নিয়ম না থাকায় তাকে জেলায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।'

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমঝোতা কীভাবে হয়েছে তা জানি না। প্রত্যাহারের আবেদন আমি নিয়ে যাইনি, নেতাকর্মীরা নিয়ে গেছে। আমি হোয়াটসঅ্যাপে আবেদন কপি পেয়েছি।'

যোগাযোগ করা হলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শায়েনুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামীকাল। একবার প্রত্যাহারের আবেদন পেয়েছি। পরে আবার প্রার্থী নিজে এসে বলছেন যে, প্রত্যাহার করেননি। আমরা আইনগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি যে, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষই সমঝোতার চেষ্টায় নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বলেও তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Mob beating at DU: Six students confess involvement

Six students of Dhaka University, who were arrested in connection with killing of 35-year-old Tofazzal Hossain inside their hall on Wednesday, confessed to their involvement in the crime before a magistrate

6h ago