রাজনীতি

সরিষাবাড়ীতে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছবি: শহিদুল ইসলাম নিরব/স্টার

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানার গেটপাড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। 

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আহতরা পুলিশ সদস্যরা হলেন-পুলিশের এসআই আব্দুল মালেক (৪০), কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৫৭) ও কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম (৩২)।

এছাড়া স্থানীয় ফজলুল হক বাবু (৩২), রোকন (৩০) রিপন (২৮), খালেদা (৬০), রাবেয়া (১৮), হাফিজুর (৩৫), বাচ্চু (৩৫), মোস্তাক (৪৫) ও মোতালেব (২৫) এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, যমুনা সার কারখানায় পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। 

ওই ঘটনায় পুলিশের এসআই আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে রফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল আলম মানিককে আসামি করে উভয়পক্ষের ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

মামলার আসামিরা সম্প্রতি জামিনে আসার পর উভয়পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। আজ দুপুরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

সংঘর্ষের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোনো কারণ ছাড়াই ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বুশরা বাণিজ্যিক সংস্থার কার্যালয় এবং ২ কর্মীর বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় কার্যালয়ের ম্যানেজার শাহ আলমকে মারধর করে দুই লাখ ৮৬ হাজার টাকা লুট করা হয়।'

এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক ডেইলি স্টারকে জানান, কারখানার পাশে খুটামারা বিলে স্থানীয়রা মাছ চাষ করছে। রফিকুল ইসলামের লোকজন ওই বিলের মাছ জোর করতে ধরতে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। 

সংঘর্ষ চলাকালে রফিকুলের গ্রুপ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

সংঘর্ষের বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।'

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

Comments