‘ফিলিস্তিনে গণহত্যার সমর্থকদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই’

‘সেনাবাহিনীর নিজস্ব নিয়মকানুন রয়েছে। সেখানে কেউ অপরাধী হলে তাদের ছাড় দেওয়ার মতো লোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নন।’
ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

'গণহত্যার সমর্থকদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই' বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, 'যারা ফিলিস্তিনে দিনের পর দিন গণহত্যায় সমর্থন দিয়ে যায়, শিশুদের হত্যা করে তারা কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো না দিলো তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই সরকারের।'

ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত 'সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ' শিরোনামে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন।

আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি তাদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতেই এই সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি রেজ্যুলেশন উপেক্ষা করে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলে সে দেশের পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ করে। নারী শিক্ষার্থীদের রশি দিয়ে পেছন থেকে হাত বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। যারা ইসরায়েলকে সমর্থন করে, নেতানিয়াহুকে সমর্থন করে, এই যদি তাদের গণতন্ত্র-মানবাধিকার হয়, তবে তাদের ভিসা নীতি বা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।' 

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সেনাবাহিনীর নিজস্ব নিয়মকানুন রয়েছে। সেখানে কেউ অপরাধী হলে তাদের ছাড় দেওয়ার মতো লোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নন।'

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের তো জীবননাশ হয়নি।'

বন্ধুরাষ্ট্র নিয়ে কথায় কথায় দোষারোপের রাজনীতি না করতে মির্জা ফখরুলের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্চসারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বক্তব্য দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Foreign debt costs to spiral

Bangladesh’s interest payments on external borrowing are projected to soar by 65 percent within three years due to rising global interest rates and an expanded foreign loan portfolio, which will put further pressure on the dwindling foreign currency reserves. 

40m ago